কটক: দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 WC)। তার আগে অশনি সংকেত ভারতীয় শিবিরে (Team India)। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে গেল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ০-২ পিছিয়ে গেলেন ঋষভ পন্থরা (Rishabh Pant)।


রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা বিশ্রামে। চোটের জন্য কে এল রাহুলও নেই। তিন তারকার অনুপস্থিতিতে ভারতের ব্যাটিং রবিবার সমস্যায় পড়ল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৪৮ রান তুলল ভারত। ১০ বল বাকি থাকতে যে রান তুলে দিলেন প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে তেম্বা বাভুমারা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন সিরিজে।


রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে যখন নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে ভারত, তখন ৩৫ বলে ৪০ রান করেছেন শ্রেয়স। তিন নম্বরে নেমে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। শ্রেয়সই রবিবার ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার।


শ্রেয়সের ইনিংসের পরেও একটা সময় যখন ভারতের স্কোর ১১২/৬, এবং হাতে পড়ে মাত্র ১৮ বল, অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে, বড় স্কোর করতে পারবে না ভারত। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ডিকে। ২১ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। তাঁর জন্যই ২০ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর পৌঁছয় ১৪৮/৬। যা লড়াই করার সুযোগ করে দিয়েছিল ভারতীয় বোলারদের।


রবিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। টসের পর তিনি বলেন, 'জানি না উইকেট কীরকম আচরণ করবে। তবে আগের ম্যাচের মতো করেই এগোচ্ছি। আগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে উইকেট আরও ভাল হয়ে গিয়েছিল।' এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে দুটি পরিবর্তন করা হয়। চোটের জন্য নেই কুইন্টন ডি'কক। সেই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ট্রিস্টান স্টাবস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দল অপরিবর্তিত রাখে ভারত।


বল করতে নেমে অবশ্য একমাত্র ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়া আর কেউই নজর কাড়তে পারেননি। ৪ ওভারে ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন ভুবি। কিন্তু হেনরিক ক্লাসেন ৪৬ বলে ৮১ রান করে ভারতের লড়াইয়ের স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটান।


আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে পাতিদারদের বিরুদ্ধে বাড়তি স্পিনার খেলানোর ভাবনা বাংলা শিবিরে