ব্যাঙ্গালোর:  ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চলতি সিরিজের শেষ তথা দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস ২৫১ রানে গুটিয়ে গেল। দলের হয়ে সর্বাধিক রান এল শ্রেয়স আয়ারের ব্যাট থেকে। অর্ধশতরান করলেন তিনি। শ্রেয়সের এই ঝলমলে ইনিংসে রয়েছে ১০ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারি। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে যখন শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন শ্রেয়স, ঠিক তখনই ৯২ রানে আউট হয়ে যান তিনি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র আট রান দূরে থেকেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হল তাঁকে। ভারতের ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। কিন্তু শ্রেয়লের ব্যাটিংয়ে ভর করে ২৫২ রানের ভদ্রস্থ স্কোর করতে পারে টিম ইন্ডিয়া। 


‘টসে জেতার পর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ময়াঙ্ক অগ্রবাল। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। মাত্র চার রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ময়াঙ্ক। রোহিতও বেশিক্ষণ বাইশ গজে টিকতে পারেননি। ২৫ বলে ১৫ রান করে তিনিও তাঁর ওপেনিং পার্টনারের পথ অনুসরণ করেন। রোহিতের ইনিংসে ছিল একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হনুমা বিহারীও ক্রিজে জমে উঠতে পারেননি। ৮১ বল খেলে ৩১ রান করে আউট হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি। 


আরও একবার অনুরাগীদের হতাশ করলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবারও সেঞ্চুরি এল না তাঁর ব্যাট থেকে। ৪৮ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল দুটি বাউন্ডারি। ঋষভ পন্থতে স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। কার্যত টি ২০-র ধাঁচে বাইশ গজ শাসন করতে শুরু করেন ভারতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ২৬ বল খেলে সাতটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ রান করেন তিনি। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় দেড়শো। গত ম্যাচে অপরাজিত ১৭৫ রান এসেছিল রবীন্দ্র জাডেজার ব্যাট থেকে। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রানেই থেমে যান তিনি। 
রবিচন্দ্রন অশ্বিনও সুবিধা করতে পারলেন না। তিনিও চার রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। অক্ষর পটেল ৯ রান করে আউট হন। মহম্মদ শামির অবদান মাত্র ৫ রান। শেষপর্যন্ত যশপ্রিত বুমরা অপরাজিত থেকে যান। তিনি খাতা খুলতে পারেননি। 


শ্রীলঙ্কার হয়ে চমৎকার বোলিং করলেন প্রবীণ জয়াবিক্রম ও লাসিথ এম্বুলডেনিয়া। তাঁরা দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।