ব্যাঙ্গালোর: প্রথম ইনিংসে ২৫২ রানে গুটিয়ে গেলেও ব্যাঙ্গালোর টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতেই। সৌজন্য পেস ব্রিগেডের দাপট। প্রথম দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। দিন-রাতের গোলাপি বলের এই টেস্টে আগুনে বোলিং ভারতের পেস জুটি যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ শামির। এর আগে ভারতের ইনিংস ২৫১ রানে শেষ হয়ে যায়। শ্রেয়স আয়ার ৯২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। 
ভারত অল আউট হয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংসের সূচনা করতে নামেন কুশল মেন্ডিস ও অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। কিন্তু ভারতের পেসারদের দাপটে শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডার। ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বুমরা। মেন্ডিসকে ফিরিয়ে আঘাত হানেন তিনি। মেন্ডিস মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান। করুণারত্নেও মাত্র চার রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন লাহিরু থিরিমানে। কিন্তু তিনিও কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। তাঁকেও আউট করেন বুমরা। 


মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে এসে ধনঞ্জয় ডি সিলভাও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। ২৪ বল খেলে মাত্র ১০ রান করে আউট হন তিনি। চরিথ অসালঙ্গাও মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে য়ান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ব্যাট হাতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু তাঁর এই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৫ বল খেলে ৪৩ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি। 


ভারতের হয়ে বুমরা ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এরমধ্যে ৩ ওভার মেডেন। মহম্মদ শামি ৬ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন। অক্ষর পটেল ৫ ওভারে ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন। 


এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস ২৫১ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বাধিক রান এল শ্রেয়স আয়ারের ব্যাট থেকে। অর্ধশতরান করলেন তিনি। শ্রেয়সের এই ঝলমলে ইনিংসে রয়েছে ১০ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারি। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে যখন শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন শ্রেয়স, ঠিক তখনই ৯২ রানে আউট হয়ে যান তিনি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র আট রান দূরে থেকেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হল তাঁকে। 


টসে জেতার পর ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ময়াঙ্ক অগ্রবাল। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। মাত্র চার রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ময়াঙ্ক। রোহিতও বেশিক্ষণ বাইশ গজে টিকতে পারেননি। ২৫ বলে ১৫ রান করে তিনিও তাঁর ওপেনিং পার্টনারের পথ অনুসরণ করেন। রোহিতের ইনিংসে ছিল একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হনুমা বিহারীও ক্রিজে জমে উঠতে পারেননি। ৮১ বল খেলে ৩১ রান করে আউট হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি। 


আরও একবার অনুরাগীদের হতাশ করলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবারও সেঞ্চুরি এল না তাঁর ব্যাট থেকে। ৪৮ বল খেলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।