সন্দীপ সরকার, কলকাতা: শ্রীলঙ্কা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বল। মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraz) বলটা অফস্টাম্পে পড়ল। কভার ড্রাইভ করার জন্য পা ও ব্যাট বাড়ালেন আবিষ্কা ফার্নান্দো। শ্রীলঙ্কার ওপেনার কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল ঢুকে এল ভেতরের দিকে। ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পে আছড়ে পড়ল। বোল্ড হয়ে গেলেন আবিষ্কা। ভারতীয় পেসার তখন উৎসব শুরু করেছেন।


সিরাজের বল দেখে বাহবা দিয়ে উঠলেন ধারাভাষ্যকারেরা। সুনীল গাওস্কর, কুমার সঙ্গকারাদের বলতে শোনা গেল, উবল সিমের এত ভাল ব্যবহার সিরাজের মতো অনেকেই করতে পারেন না। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং 'উবল সিম'। লেখালিখি শুরু হয়ে গিয়েছে, পেসারদের তূণে কি তবে নতুন অস্ত্র যোগ হল?


কী এই 'উবল সিম'?


বাংলা তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন পেসার অশোক ডিন্ডা (Ashok Dinda) বলছিলেন, 'এটা ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানোর কৌশল। এমনভাবে বল রিলিজ করা হয় যে, ব্যাটসম্যানেরা সিম দেখতে পায় না। তাই আগাম অনুমান করতে পারে না ভেতরে আসবে না বাইরে যাবে। এমনকী, বোলাররাও জানে না সেটা পিচে পড়ে কীরকম আচরণ করবে।'


বৃহস্পতিবার ইডেনে ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। সদ্য প্রাক্তন পেসারকে জিজ্ঞেস করায় বললেন, 'উবল সিম ব্যাপারটা নতুন নয়। বল খুব একটা স্যুইং না করলে তখন সিম বা বলের সেলাইয়ের দিকটা কাজে লাগাতে চায় পেসাররা। সিমে পড়ে বল মুভ করে। তবে অনেক সময় বল রিলিজ করার সময় আঙুলের অবস্থান সামান্য বদলে এমনভাবে ছাড়া হয় যে, খানিকটা ক্রস সিম বা আড়াআড়িভাবে বল পিচে পড়ে। তারপর সেটা ভিতরের দিকেও যেতে পারে, বাইরের দিকেও যেতে পারে। এতে ব্যাটাররা বিভ্রান্ত হয়।'                                    


ইডেনের পিচে বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে আসবে বলে পিচ রিপোর্টের সময়ই পূর্বাভাস করেছিলেন দীপ দাশগুপ্ত। ইদানীং ইডেনের উইকেটের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন আরে আগের মতো ইডেন মানেই 'লাগ ভেল্কি' স্পিন নয়। বরং পেসাররাও কেরামতি দেখানোর সুযোগ পান। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা দেন সিরাজই।                          


আরও পড়ুন: Exclusive: কলকাতায় আচমকা অসুস্থ দ্রাবিড়, রাতে টিমহোটেলেই পাঠানো হয় জরুরি ওষুধ