বেঙ্গালুরু: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেই এক অনবদ্য রেকর্ড গড়বেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। স্পর্শ করবেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli)।


কী সেই রেকর্ড? রোহিত শর্মা ভারতের হয়ে ৪০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলবেন। তাঁর আগে মাত্র ৮ জন ভারতীয় ক্রিকেটার দেশের হয়ে চারশো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তাঁদের মধ্য়ে একমাত্র কোহলিই এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।


রোহিত দেশের হয়ে ২৩০টি ওয়ান ডে, ১২৫টি টি-টোয়েন্টি ও ৪৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। বেঙ্গালুরুর দিন-রাতের টেস্ট হবে তাঁর কেরিয়ারের চারশোতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 


প্রথমবার দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ (Pink Ball Test) খেলা হবে। সেজে উঠছে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। এই ম্যাচে দর্শকের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। মোট দর্শকাসনের পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছিল কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা (KSCA)। তবে ম্যাচ নিয়ে এমনই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে যে, অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরই মুহূর্তে তা নিঃশেষ হয়ে যায়।


দিন-রাতের ম্যাচে শিশির কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে যথারীতি চর্চা শুরু হয়েছে। ভারতের মাটিতে এটা হতে চলেছে দ্বিতীয় নৈশালোকে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ। এর আগে ২০১৯ সালে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট।


১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ঐতিহাসিক ম্য়াচ ছিল এই মাঠে প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ। তারপর থেকে প্রায় আড়াই দশকেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু টেস্টে পিচ বা পরিবেশ-পরিস্থিতি কীরকম প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে দাঁড়াতে দেয়নি ভারত। জিতেছে ইনিংস ও ২২২ রানে।


মনে করা হচ্ছে, ম্যাচের দুই অংশে দু'রকম আচরণ দেখা যাবে বাইশ গজে। প্রথমার্ধে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে। পরের অর্ধে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর পিচ থেকে সাহায্য পেতে পারেন বোলাররা।


দ্বিতীয়ার্ধে শিশির পড়তে শুরু করলে বোলাররা কতটা বিপাকে পড়তে পারেন, অনেকে তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। শিশিরভেজা বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ার কথা বোলারদের। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উচ্চতায় থাকা বেঙ্গালুরুতে বছরের এই সময়ে খুব একটা শিশির পড়বে না বলেই খবর। সেক্ষেত্রে শিশির নিয়ে বোলারদের বড়সড় কোনও উদ্বেগের কারণ নেই বলে মনে করা হচ্ছে।


ভারতীয় দল অবশ্য গোলাপি বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড়, বোলিং কোচ পারস মামব্রে ও ব্যাটিং গুরু বিক্রম রাঠৌর পিচ দেখেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর থাকবে ভারতীয় শিবির।