রাওয়ালপিণ্ডি: দীর্ঘ আঠাশ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া (Pakistan vs Australia)। রাওয়ালপিণ্ডিতে প্রথম টেস্টের শেষে অবশ্য চর্চায় বাইশ গজ। প্রথম টেস্টের জন্য যে পিচের ব্যবস্থা ছিল তা নিয়ে খুশি হতে পারছে না কোনও শিবিরই। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারেরা সরাসরি বলছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তনীরা বিরক্তি প্রকাশ করছেন।


এবার রাওয়ালপিণ্ডির বাইশ গজ নিয়ে ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মদুগলের (Ranjan Madugale) রিপোর্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) কাছে পাঠাল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এবার পিসিবি-ই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।


প্রথম টেস্টে পাঁচ দিনে দুই দল মিলে তুলেছিল ১,১৮৭ রান। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি মনে করছেন, তাঁর দেশ হারতে চায়নি, সেই কারণেই এমন পিচ বানিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৭৬/৪ তুলে ডিক্লেয়ার দেয় পাকিস্তান। পাল্টা অস্ট্রেলিয়া তোলে ৪৫৯। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ২৫২ রান তোলে। দুই ইনিংসেই শতরান করেন ইমাম উল হক।


পিচে বোলারদের জন্য প্রায় কিছুই ছিল না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আফ্রিদি বলেছেন, ‘‘ওরা অস্ট্রেলিয়ার কথা ভাবেনি। ওরা শুধু ভেবেছে, ‘এই ম্যাচ হারা চলবে না।’ পরের দুই টেস্ট লাহৌর ও করাচিতে। সেখানে ভাল পিচ তৈরি করতে হবে। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিতে হবে। না হলে যখন অস্ট্রেলিয়া যাবে, তখন খুব সমস্যায় পড়তে হবে।’’


পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। তিনি বলেন, ‘‘রাওয়ালপিণ্ডির সাধারণ পিচ এটা নয়। ওরা এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, আমাদের পেস আক্রমণকে ভয় পেয়েই এমন করেছে।’’ চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার স্টিভ স্মিথ এই পিচকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যদিও মনে করছিল যে, আইসিসি রাওয়ালপিণ্ডি পিচ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। তবে ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মদুগলে এই পিচ টেস্টের উপযুক্ত নয় বলে অভিযোগ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার জানা গেল, পিসিবির কোর্টেই বল ঠেলেছে আইসিসি।


২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডার্সের পিচকে খারাপ বলা হয়েছিল। সেখানে ব্যাটারদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল সেই পিচ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম মনে করছে, রাওয়ালপিণ্ডি পিচ নিয়ে আইসিসি ভাবনা চিন্তা করতেই পারে, কারণ প্রথম চার দিনে মাত্র ১১টি উইকেট পড়েছিল। ম্যাচ রেফারি যদি এই পিচকে খারাপ তকমা দেন তা হলে এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে। পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও স্টেডিয়াম যদি পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পায় তা হলে এক বছর সেই স্টেডিয়াম কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না। রাওয়ালপিণ্ডির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।