কলম্বো : দাপুটে জয়ে শুরুর পরের ম্যাচে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়। সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার পর শেষ ম্য়াচে ছিল শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ। সেটা অবশ্য করতে পারল না রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন ভারত। ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে প্রেমদাসায় সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩ উইকেটে হারতে হল ভারতকে। যদিও হারের মাঝেও উজ্জ্বল অভিষেককারী রাহুল চাহার (৩/৫২), চেতন সাকারিয়াদের (২/৩৪) অদম্য লড়াই। তবে হাতে রানের পুঁজি এতটাই কম ছিল যে সিংহলিদের রক্তচাপ বাড়ালেও ম্যাচ জেতার মতো অবস্থায় কখনই ছিল না ভারত। আভিস্কা ফার্নান্দো (৭৬) ও ভানুকা রাজাপক্ষের (৬৫) জোড়া অর্ধশতরানে ভর করে রান তাড়া করার শুরুতেই ম্যাচের দখল নিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। উল্লেখযোগ্যভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৯ বছর পর ভারতকে কোনও ম্যাচে হারাল শ্রীলঙ্কা। শেষবার ভারত শ্রীলঙ্কার কাচে ২০১২ সালের জুলাই মাসে হেরেছিল ওডিআইতে।


সিরিজের শেষ নিয়মরক্ষার ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন, রাহুল চাহার, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, চেতন সাকারিয়া ও নীতিশ রানা, পাঁচজনকে আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে ভারতের জার্সিতে অভিষেকের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অধিনায়ক শিখর ধবন (১৩) ব্যর্থ হলেও পৃথ্বী শার (৪৯) সঙ্গে শুরুটা ভালোই করেছিলেন সঞ্জু (৪৬)। কিন্তু ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারেননি কেউই। ইনিংসের মাঝপথে সূর্যকুমার যাদব (৪০) ছাড়া খেলার গতিতে বৃষ্টির বিঘ্নের মতোই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে-বলে সংযোগে ক্রমাগত বিঘ্ন ঘটতে থাকে। শেষমেশ কমে দাঁড়ানো ৪৭ ওভারের ম্যাচের ৪৩.১ ওভারেই মাত্র ২২৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং।


একেবারে অল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বার করার জন্য দরকার ছিল শুরুতেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ক্রমাগত আঘাত হানার। তবে আভিস্কা ও ভানুকার পরিণত পার্টনারশিপ সেই রাস্তা খুঁজে নিতে দেয়নি ভারতীয় বোলারদের। তাদের ১০৯ রানের পার্টনারশিপে ভর করেই জয়ের তথা সম্মানরক্ষার মঞ্চ তৈরি করে ফেলে দ্বীপ রাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। যদিও তরুণ ভারতীয় ব্রিগেড হাল ছাড়েনি। শেষপর্বে রাহুল চাহার, চেতন সাকারিয়ারা একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুমে রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই চাপ কাটিয়ে হোয়াইটহোয়াশের লজ্জা থেকে নিস্তার পায় শ্রীলঙ্কা।