কটক: বিশাখাপত্তনমে জয়ী হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। রবিবার কটকে সিরিজের চূড়ান্ত তথা নির্ণায়ক ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ পকেটে পুরবে ভারত। জয় দিয়েই বছর শেষ করতে বদ্ধপরিকর বিরাট কোহলি ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ে আট উইকেটে হেরে গিয়েছিল মেন ইন ব্লু ব্রিগেড। পরের ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০৭ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ভারত। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে বিশাখাপত্তনমের পারফরম্যান্সের পুণরাবৃত্তি ঘটানোই লক্ষ্য ভারতের। দলের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা ছন্দে রয়েছেন। বিশাখাপত্তনমে তাঁদের জুটিতে ২২৭ রান ওঠে। এর থেকেই স্পষ্ট, ভারতের দুই ওপেনার কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন। তাঁরা দলের ইনিংসের যে ভিত গড়ে দেন, তার ওপর দাঁড়িয়ে শ্রেয়স আয়ার ও ঋষভ পন্থরা রানের পাহাড় গড়ে তোলেন।
বোলিং বিভাগে দীপক চাহারের জায়গায় দলে এসেছেন নভদীপ সাইনি। চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন চাহার। সেক্ষেত্রে কটকে একদিনের ক্রিকেটে সাইনির অভিষেকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব তাঁর সেরা ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশাখাপত্তনমে। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে জোড়া হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি।
তবে ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তা থাকছেই। এই বিভাগে আরও উন্নতির প্রয়োজন, বিশেষ করে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে। সম্প্রতি টি ২০ ও একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় ফিল্ডাররা বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছেন। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে এমনটা ঘটলে তার মাশুল গুণতে হতে পারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা। শেলডন কোট্রেল, কিমো পলদের শুধু রান আটকালেই হবে না, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে নিয়মিত উইকেটও নিতে হবে।
ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে তাদের ভরসা শিমরন হেটমেয়ার ও শাই হোপ। চলতি সিরিজে এই দুই ব্যাটসম্যান ভালো ছন্দে রয়েছেন। একইসঙ্গে ভারতের মতো তাদেরও ফিল্ডিংয়ের মানের উন্নতি ঘটাতে হবে।
কটকের পিচও ব্যাটসম্যানদের সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই আরও একটা হাই-স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে।