মেলবোর্ন: বলা হচ্ছে, এত অঘটনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি।


দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার টুয়েলভের যোগ্যতাই পায়নি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাও। গ্রুপ পর্বে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে দুর্বল আয়ার্ল্যান্ড। জিম্বাবোয়ের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। রবিবারই নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।


রবিবার মেলবোর্নে জিম্বাবোয়ের বোলিংয়ের সামনে ভারতের একের পর এক ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও।


সেই মেঘ যাতে প্রলয়ে পরিণত না হয়, হাফসেঞ্চুরি করে তা নিশ্চিত করলেন কে এল রাহুল। তারপর শুধু সৌরঝড়। চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রান হয়ে গেল মুম্বইয়ের তারকার। উইকেটের চারপাশে শটের বৈচিত্র্যের জন্য যাঁকে এ বি ডিভিলিয়ার্সের পর বিশ্বক্রিকেটের নতুন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি বলা হচ্ছে। রবিবার মেলবোর্নে রাহুলের হাফসেঞ্চুরির পরেও তখন চাপে ভারত। দেড়শো রান পেরবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ বদলে গেল সূর্যর দাপটে।


২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন। পেসারের বল স্কুপ করে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন। একবার নয়, বারবার। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত রইলেন সূর্য। তাঁকে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ১৮ বলে ১৮ রান করলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ১৮৬/৫। জিম্বাবোয়ের সামনে জয়ের লক্ষ্য ১৮৭ রান।


 




যে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খেল জিম্বাবোয়ে। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে প্রথম ওভারেই কোনও রান না করে ফিরলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। শর্ট এক্সট্রা কভারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন বিরাট কোহলি। যিনি এদিন ব্যাট হাতে ২৫ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছিলেন।