অ্যান্টিগা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ২৮৮/৪। দিনের প্রথম দুটো সেশন ভারতের থাকলেও তৃতীয় সেশনে দুর্দান্তভাবে ম্য়াচে কামব্যাক করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি। তিনি ৮৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রথম দিনের শেষে। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি ৩৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তবে ৮০ রানে আউট হয়ে শতরানের সুযোগ মিস করেন রোহিত শর্মা। 


ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ১০০ তম টেস্ট এটি। আর এই ঐতিহাসিক টেস্টে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের অভিষেক করেন মুকেশ কুমার। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার জার্সিতে খেলেন মুকেশ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও খেলতে দেখা গিয়েছেন আইপিএলে মুকেশকে। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংও করেছিলেন। যার জন্য ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলের টেস্ট ফর্ম্যাটে। গতকাল সুযোগ চলে আসে অভিষেকের। প্রথম দিনের শেষে ৮৭ রানে ব্য়াট করছেন বিরাট। ৩৬ রানের ইনিংস  খেলে অপরাজিত রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। ওপেনিংয়ে যশস্বী ও রোহিত গত ম্যাচের মত এদিনও দুর্দান্ত শুরু করেন। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায় আউট হন জয়সওয়াল। দলের স্কোর ১৩৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত।  


প্রথম টেস্টে রোহিত ও যশস্বী, উভয়েই শতরান হাঁকিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন দুইজনে। তবে দুইজনের কেউই শতরান হাঁকাতে পারলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম সাফল্য এনে দেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। তিনি যশস্বীকে ৫৭ রানে সাজঘরে ফেরান। কাট মারতে গিয়ে অভিষেককারী কার্ক ম্যাকেঞ্জির হাতে ধরা দেন যশস্বী। তিনে নামা শুভমন গিলের সামনে সুযোগ ছিল ওপেনারদের দেওয়া প্ল্যাটফর্মে বড় রান করার। তবে তিনি ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ হন।


চার মেরে ভারতকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করানোর পরেই কিমার রোচের বলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা দেন গিল। ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন ভারতের তরুণ তুর্কি। অধিনায়ক রোহিতও কার্যত নিশ্চিত দেখানো শতরান মাঠে ফেলে দিয়ে আসেন। জমেল ওয়ারিকানের একটি বলের লাইন সম্পূর্ণভাবে মিস করেন রোহিত। ৮০ রানে বোল্ড হন তিনি। তবে এই শতরান হাতছাড়া করলেও, এই ইনিংসের সুবাদে তিনি প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে পিছনে ফেলে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই হাজার রান করে ফেলেন। গোটা বিশ্বে অবশ্য তিনি নবম ব্যাটার হিসাবে এই কৃতিত্ব গড়েন।