এদিন খেলার শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। প্রথম কোয়ার্টারের একেবারে শেষমুহূর্তে প্রথম গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন তলবিন্দর সিংহ। রিভার্স ফ্লিকে তিনি অসাধারণ গোল করেন। তবে এই গোলটির পরেই সাময়িকভাবে খেলা থেকে হারিয়ে যায় ভারতীয় দল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই গোল করে সমতা ফেরান সিও ইনউ। হাফটাইমে খেলার ফল ছিল ১-১।
তৃতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচে ফেরে ভারত। এই সময়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ পান রুপিন্দররা। কিন্তু তাঁরা গোল করতে ব্যর্থ হন। চতুর্থ কোয়ার্টারে বৃষ্টির মধ্যে খেলার ছন্দ কিছুটা নষ্ট হয়। এরই মধ্যে চাপ বাড়াতে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। ভারতের অধিনায়ক তথা গোলকিপার শ্রীজেশ কয়েকবার দলের পতন রোধ করেন। কিন্তু ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করে দক্ষিণ কোরিয়াকে এগিয়ে দেন জিহুন ইয়্যাং। দু মিনিট পরেই অবশ্য রমনদীপ সিংহর গোলে সমতা ফেরায় ভারত।
শ্যুটআউটে দু দলই প্রথম চারটি ক্ষেত্রে গোল করে। এরপর পঞ্চম গোল করে ভারত এগিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার শেষ শট রুখে ভারতকে ফাইনালে নিয়ে যান অধিনায়ক শ্রীজেশ। অথচ গোড়ালির চোটের জন্য তিনি এই ম্যাচে খেলবেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চয়তা ছিল না। শেষপর্যন্ত শ্রীজেশ খেললেন এবং জয়ের নায়ক বনে গেলেন। অধিনায়কের অসাধারণ ফর্মের জন্যই ফাইনালেও এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে ভারত।