এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৬৩ রান করে ভারত। ওপেনার রাহুল এদিনও ভাল পারফরম্যান্স দেখান। তিনি ৩৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার সঞ্জু স্যামসন এদিনও ব্যর্থ। তিনি মাত্র ২ রান করেন। শিবম দুবেও ব্যর্থ হন। তিনি করেন মাত্র ৫ রান। তিন নম্বরে নামা রোহিত ৪১ বলে ৬০ রান করেন। কাফ মাসলে টান ধরায় তিনি ১৭-তম ওভারে অবসৃত হন। শ্রেয়স আয়ার ৩৩ রান করেন। তবে তিনি শেষের ওভারগুলিতে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হন। মণীশ পাণ্ডে করেন ৪ বলে ১১ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৭ রানের মধ্যে ফিরে যান মার্টিন গাপটিল (২), কলিন মুনরো (১৫) ও টম ব্রুস (০)। এরপর অবশ্য ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলে দেন টিম সেইফার্ট ও রস টেলর। সেইফার্ট ৩০ বলে ৫০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ১০ নম্বর ওভারে ৩৪ রান দেন শিবম দুবে। তবে ১৩ নম্বর ওভারে নবদীপ সাইনি সেইফার্টকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই আবার ম্যাচ ভারতের দিকে ঢলে পড়ে। ১৪ নম্বর ওভারের শেষ বলে অবিশ্বাস্য ইয়র্কারে ড্যারিল মিচেলকে (২) ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। ১৭ নম্বর ওভারে জোড়া উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এই ওভারের তৃতীয় বলে মিচেল স্যান্টনারকে (৬) ফেরানোর পর পঞ্চম বলে তিনি ফেরান স্কট কাগেলেইনকে (০)। টেলর (৫৩) বেশ কিছুক্ষণ লড়াই করলেও, ১৮ নম্বর ওভারের প্রথম বলেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন নবদীপ। এরপর ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। ১৯ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলে টিম সাউদিকে (৬) বোল্ড করে দেন বুমরাহ। শেষ ওভারে শার্দুলের বলে দু’টি ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন ইশ সোধি। শেষ ২ বলে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। তবে ২০ নম্বর ওভারের পঞ্চম বলে রান পাননি সোধি। ফলে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। বুমরাহ ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। নবদীপ ও শার্দুল দু’টি করে উইকেট নেন।
ভারতীয় দল- লোকেশ রাহুল, সঞ্জু স্যামসন, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শ্রেয়স আয়ার, মণীশ পাণ্ডে, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, নবদীপ সাইনি, যুজবেন্দ্র চাহল ও জসপ্রীত বুমরাহ।
নিউজিল্যান্ড দল- মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, টিম সেইফার্ট, রস টেলর, টম ব্রুস, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, স্কট কাগেলেইন, টিম সাউদি (অধিনায়ক), ইশ সোধি ও হামিশ বেনেট।