কুয়ান্তান (মালয়েশিয়া): পাকিস্তানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চতুর্থ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ২০১১ সালের পর এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।


উরি হামলার বদলা, দেশবাসীকে দীপাবলির উপহার। দুভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় এই জয়কে। গ্রুপ লিগের পর ফাইনালেও পাকিস্তানকে হারাল ভারত। অধিনায়ক পি আর শ্রীজেশকে ছাড়াই এল এই অসাধারণ জয়।

এই ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিল ভারত। সাত মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার পান রুপিন্দর পাল সিংহরা। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয় ভারত। ১৩ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে একটি আক্রমণ থেকে গোল করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। একটি উঁচু বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ফস্কান শ্রীজেশের বদলে মাঠে নামা গোলকিপার আকাশ চিকতে। তবে ভাগ্য ভাল থাকায় গোল খায়নি ভারত। প্রথম কোয়ার্টার গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।

তবে ভারতের গোল পেতে দেরি হয়নি। ১৮ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করতে ভুল করেননি এই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা রুপিন্দর। পাঁচ মিনিট পরে ফের গোল। এবার গোল করেন আফফান ইউসুফ। দু গোলে পিছিয়ে পড়ে তেড়েফঁড়ে আক্রমণে উঠতে থাকে পাকিস্তান। তারা ২৬ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায়। এরপর আলিম বিলাল গোল করে ব্যবধান কমান। হাফটাইমে ২-১ গোলে এগিয়েছিল ভারত।

তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকেই ভারতের খেলার ছন্দ হারিয়ে যায়। এরই সুযোগ নিয়ে ৩৮ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান আলি শান। সমতা ফেরার পর ভারতের খেলা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে যায়। পাসিং, রিসিভিংয়ে ক্রমাগত ভুল হতে থাকে। আক্রমণ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয় কোয়ার্টার শেষ হয় ২-২ গোলে।

চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরু থেকেই ফের খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে ভারত। একের পর আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে পাক গোলমুখে। ৫০ মিনিটে ভারতের তৃতীয় গোল করেন নিকিন থিমাইয়া। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পায় পাকিস্তান। তবে গোল হয়নি। শেষপর্যন্ত ৩-২ গোলেই জয় আসে।

এই প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই অসাধারণ খেলছিল ভারত। বিশেষ করে রুপিন্দর অনবদ্য ফর্মে ছিলেন। গোটা প্রতিযোগিতায় তাঁর মোট গোল ১১টি। গ্রুপ লিগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করা ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই অনায়াস জয় পায় রোল্যান্ট অল্টম্যান্সের দল। সেমিফাইনালে সেই দক্ষিণ কোরিয়াই ছিল ভারতের প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচ গড়ায় শ্যুটআউটে। ৫-৪ গোলে জয় পায় ভারত। এরপর দীপাবলির সন্ধ্যায় ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে এল জয়।