পুণে: টেস্ট সিরিজে ৪-০ জয়ের পর একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৩৫০ রান করেও ভারতকে হারাতে পারল না ইয়ন মর্গ্যানের দল। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ১০৫ বলে ১২২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন বিরাট। ৭৬ বলে ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে জয়ের অপর এক নায়ক কেদার যাদব।

এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। তাঁর দলের বোলারদের জঘন্য পারফরম্যান্সের সুযোগ নিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫০ রান করে ইংল্যান্ড। জেসন রয় ৭৩, জো রুট ৭৮ এবং বেন স্টোকস ৬২ রান করেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। দুই ওপেনার শিখর ধবন (১) ও লোকেশ রাহুল (৮) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দীর্ঘদিন পর একদিনের দলে ফেরা যুবরাজ সিংহও (১৫) রান পেলেন না। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম একদিনের ম্যাচে ব্যর্থ হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও (৬)।

তবে বিরাট ও কেদার যাদবের লড়াইয়ের সুবাদে জয় পেল ভারত। প্রকৃত অধিনায়কের মতোই লড়াই চালান বিরাট। চাপের মুখে ভাল খেলা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ক্রিস উকসের বলে ছক্কা মেরে একদিনের ক্রিকেটে ২৭-তম শতরান পূরণ করেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ১৭-তম শতরান করে সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড স্পর্শ করেন বিরাট। কিন্তু একদিনের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে অসাধারণ লড়াই চালিয়েও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না বিরাট। যদিও তাঁর দল জয় পেল।

কেদার টি-২০ ম্যাচের মতোই ব্যাটিং করেন। তিনি মাত্র ৬৫ বলে শতরান পূরণ করেন। কিন্তু তারপরেই পায়ে টান ধরে। এরপর আউট হয়ে যান কেদার। শেষপর্যন্ত হার্দিক পাণ্ড্য (অপরাজিত ৪০) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৫ অপরাজিত) ৭ উইকেটে ৩৫৬ রান করে ভারতকে ৩ উইকেটে জয় এনে দেন। মইন আলির বলে ছক্কা মেরে জয় আনেন অশ্বিন। এই নিয়ে তৃতীয়বার একদিনের ক্রিকেটে ৩৫০ রান তাড়া করে জয় পেল ভারত।