নয়াদিল্লি: রোহিত শর্মা ও শিখর ধবনের ব্যাটিং বিক্রমের দৌলতে বুধবার টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫৩ রানে হারাল ভারত। খেলার সর্বকনিষ্ঠ ফর্ম্যাটে ব্ল্যাক ক্যাপস-দের বিরুদ্ধে এটিই মেন ইন ব্লু-র প্রথম জয়।


এদিন দিল্লির ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০২ রান করল ভারত। দুই ওপেনার শিখর ধবন ও রোহিত শর্মা ৮০ রান করে করেন। রোহিত ৮০ রান করেন ৫৫ বলে। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। অন্যপ্রান্ত একই রকম আক্রমণাত্মক ছিলেন ধবনও। তাঁর ৮০ রান আসে ৫২ বলে। মেরেছেন ১০টি চার ও ২টি ছক্কা।


শুরু থেকেই ভারতের দুই ওপেনার দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ১০ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৮০/০। ১২ ওভারে ১০০ করে ভারত। প্রথম উইকেটে ১৫৮ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ হয়। ধবন আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। তবে শেষদিকে বিরাট ১১ বলে ২৬ রান করে দলের রান ২০০ পার করে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি অপরাজিত থাকেন। ইশ সোধি দুটি ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি উইকেট নেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৯ রানেই থমকে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ভারতের রাখা বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করার জন্য প্রয়োজন ছিল ভাল ওপেনিং পার্টনারশিপের। কিন্তু, হয় উল্টোটা। শুরুতেই জোড়া উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপস-রা। অধিনায়ক উইলিয়ামসন (২৮), টম লাথাম (৩৯) উইকেটে থিতু হয়েও বড় রান করতে পারেননি। বাকিদের থেকেও কোনও কোনও অবদান মেলেনি। শেষদিকে, স্যান্টনার কিছুটা চালিয়ে খেললেও, তা যথেষ্ট ছিল না।


ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন যযুবেন্দ্র চাহাল ও অক্ষর পটেল। একটি করে উইকেট দখল করেন  ভূবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্য ও জশপ্রীত বুমরাহ। এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। এই জয়ের ফলে, তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেল বিরাট-বাহিনী।



এটা ভারতের অভিজ্ঞ আশিস নেহরার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বাঁ হাতি পেসার। অন্যদিকে, শ্রেয়াস আইয়ারের অভিষেক হয়। তাঁর হাতে জাতীয় দলের টুপি তুলে দেন ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী।









ভারতীয় দল- রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), শ্রেয়াস আইয়ার, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, হার্দিক পাণ্ড্য, অক্ষর পটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, আশিস নেহরা, জসপ্রীত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চাহল।