লন্ডন: আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। এরপরই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা ইংল্য়ান্ডে পৌঁছে গিয়েছে এরমধ্যেই। অনুশীলনে নেমে পড়েছেন প্রত্যেকেই। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ও সেখানকার পেস নির্ভর পিচে ২ দলের বোলিং লাইন আপ যে বেগ দিতে চলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। ফাইনালের আগে অজি স্কোয়াড মোটামুটি গোছানো হলেও, ভারতীয় একাদশ কেমন হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিশেষ করে ভারতের বোলিং লাইন আপ কেমন হতে পারে, তা হয় মাথাব্যথা বাড়াতে পারে রাহুল দ্রাবিড় ও টিম ম্য়ানেজমেন্টের।


টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য যে যে ভারতীয় বোলার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আইপিএলে ভাল পারফর্ম করেছেন। ভারতের স্পিন ডুয়ো জাডেজা ও অশ্বিন উপমহাদেশের উইকেটে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। অশ্বিন ২৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। অন্যদিকে জাডেজা ২২ উইকেট নিয়েছেন। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এই জুটি কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রভাব ফেলতে পারেননি। যদিও ইংল্যান্ডের মাটিতে অশ্বিনের পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ নয়। ১৮ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি।


২ মূল পেসার হিসেবে মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ খেলবেন নিশ্চিত। অলরাউন্ডার হিসেবে শার্দুল ঠাকুর থাকছে। সঙ্গে আর একজন পেসারের জায়গায় উমেশ ও জয়দেবের মধ্যে লড়াই চলবে। 


মাঠে নামলেন তারকারা


রবীন্দ্র জাডেজা, শুভমন গিল (Shubman Gill), অজিঙ্ক রাহানেরা সকলেই আইপিএল ফাইনালের অংশ ছিলেন। এবার তাঁরাও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি সারতে মাঠে নেমে পড়লেন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবও ভারতীয় অনুশীলনে যোগ দিলেন। বিসিসিআইয়ের তরফে তারকা ক্রিকেটারদের দলের অনুশীলনে নামার বেশ কয়েকটি ছবিও পোস্ট করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টটির ক্যাপশনে বিসিসিআই তরফে লেখা হয়, 'অপেক্ষার অবসান হল। সকলকে স্বাগত।'


কোন বলে ফাইনাল?


আইসিসির তরফে ইতিমধ্যেই কোন বলে খেতাবি লড়াই হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে ডিউকস বলেই এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজিত হবে। এই বলে ফাইনাল খেলাটা দুই দলের ক্ষেত্রেই বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে কারণ ভারত ও অস্ট্রেলিয়, দুই দলের কেউই নিজেদের ঘরের মাঠে ডিউকস বলে খেলে না। ভারতে যেখানে এসজি বলে খেলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় সেখানে ব্যবহৃত হয় কুকাবুরা বল। তাই দুই দলকেই ভিন্ন চরিত্রের বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং লড়াইটাও সমান সমান হবে।