কটক: ভারতের বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে ওপেনার জেসন রয় (৮২), জো রুট (৫৪), অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (১০২) ও মইন আলি (৫৫) লড়াই করলেন। কিন্তু তাতেও বিরাট কোহলির দলের জয় আটকাতে পারল না ইংল্যান্ড। ১৫ রানে জিতে ম্যাচ ও সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৮১ রান করে ভারত। জবাবে ৮ উইকেটে ৩৬৬ করে ইংল্যান্ড।  এই জয়ের পর তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। টেস্ট সিরিজে ৪-০ জয়ের পর এবার একদিনের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে ভারত।

পুণেতে প্রথম ম্যাচের মতোই কটকে দ্বিতীয় ম্যাচেও রানের বন্যা দেখলেন দর্শকরা। দু ইনিংস মিলিয়ে সাতশোর বেশি রান উঠল। শতরান করলেন দু দলের তিন জন ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত লড়াই হল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে অসাধারণ জয় পেল ভারত।

এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। উকসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে দারুণ শুরু করেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু ৫ রান করার পরেই উকসের বলে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বেন স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন রাহুল। তিন নম্বরে নামেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৮)। তিনি দুটি বাউন্ডারি মেরে দর্শকদের বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। রাহুলের মতোই উকসের বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন বিরাট। এরপর উকসের তৃতীয় শিকার হন শিখর ধবন (১১)। তিনি বোল্ড হয়ে যান।

২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই জায়গা থেকে দলকে ভরসা দেন যুবরাজ সিংহ ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের হাত ধরেই বরাবটি স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।

যুবরাজ ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর এই প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে শতরান করলেন। তিনি ১৫০ রান করে ক্রিস উকসের চতুর্থ শিকার হলেন। একদিনের ম্যাচে এটাই যুবরাজের সর্বোচ্চ স্কোর। দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করলেন যুবরাজ।

যুবরাজের পাশাপাশি ধোনিও ফর্মে ফিরেছেন। তিনিও শতরান করলেন। ধোনি শেষপর্যন্ত ১৩৪ রান করে  লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে ডেভিড উইলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। গত ম্যাচের নায়ক কেদার যাদব ১০ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে প্লাঙ্কেটের বলে জেক বলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। হার্দিক পাণ্ড্য ৯ বলে ১৯ রানের ছোট্ট কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন। রবীন্দ্র জাডেজা ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেলস ১৪ রান করে যশপ্রীত বুমরাহর বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। রয় ও রুটের জুটিতে ১০০ রান যোগ হয়। মিডল অর্ডার অবশ্য বড় রান করতে পারেনি। ষষ্ঠ উইকেটে মর্গ্যান ও মইনের জুটিতে যোগ হয় ৯৩ রান। মর্গ্যান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশায় ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু অধিনায়ক রান আউট হয়ে যাওয়ার পরেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২২ রান। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে লিয়াম প্লাঙ্কেট (২৬) ও ডেভিড উইলি (৫) ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৬৫ রানে ৩ উইকেট এবং বুমরাহ ৮১ রানে ২ উইকেট নেন।