বার্মিহাম: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট জেতার জন্য চতুর্থ দিন ৮৪ রান দরকার ভারতীয় দলের। হাতে পাঁচ উইকেট। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ১১০। ক্রিজে অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৪৩) ও দীনেশ কার্তিক (১৮)। প্রথম ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসেও দলকে ভরসা দিচ্ছেন বিরাট। বড় অঘটন না ঘটলে আগামীকাল ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।


এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৮৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে বিরাটের দুরন্ত শতরানের দৌলতে ভারত ১৩ রান পিছিয়ে থেকে ২৭৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ জয়ের জন্য ভারতের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৪ রান। সেই রান তোলার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন বিরাট ও কার্তিক।

লোয়ার অর্ডারের লড়াইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কোণঠাসা অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। একটা সময় ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আয়োজক দেশ। কিন্তু এরপর অষ্টম উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন স্যাম কুরান ও আব্দুল রশিদ। ৪০ বল খেলে ১৬ রান করে উমেশ যাদবের বলে আউট হন রশিদ। ১৩৫ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হয়। কিন্তু অবিচল থেকে যান কুরান। তিনি অর্ধশতরান করেন। তাঁকে সঙ্গত দেন জেমস অ্যান্ডারসন। নবম উইকেটে মূল্যবান ৪১ রান যোগ করার পর ইশান্তের বলে আউট হন অ্যান্ডারসন। তিনি করেন ২৮ বলে ১১ রান। ১৭৬ রানে নবম উইকেটের পতন ঘটে। স্কোরবোর্ডে আর চার চার রান যোগ হওযার পর কুরানকে আউট করে ইংল্যান্ডের ইনিংসে ইতি টেনে দেন উমেশ যাদব। কুরান ৬৫ বলে ৬৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ইশান্ত ৫১ রানে পাঁচটি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৫৯ রানে ৩ টি এবং উমেশ ২০ রানে দুটি উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে আর অশ্বিন ও ইশান্ত শর্মার স্পিন-পেস যুগলবন্দীতে বার্মিহামে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘোরতর সংকটে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। অশ্বিন গতকাল অ্যালেস্টার কুককে আউট করেছিলেন। এদিন দিনের শুরুতেই ফের আঘাত হানেন তিনি। আরও দুটি উইকেট নেন তিনি। ফিরিয়ে দেন জেনিংস ও রুটকে। ৩৯ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এর পর আগুনে বোলিং ইশান্তের। তাঁর দাপটে মধ্যাহ্নভোজের আগে আরও তিন ব্যাটসম্যান আউট হন। লাঞ্চের সময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৬ উইকেটে ৮৬। লাঞ্চের পর জোস বাটলার আউট হন। তিনিও ইশান্ত শর্মার শিকার হন। ৮৭ রানে ইংল্যান্ডের সপ্তম উইকেটের পতন হয়।অশ্বিন যেখানে ইংল্যান্ডের  টপ অর্ডারকে নাজেহাল করেন, সেখানে ইশান্ত গুঁড়িয়ে দেন মিডল অর্ডার। ইশান্তের শিকার হন মালান, বেয়ারস্টো, স্টোকস, বাটলার ও ব্রড।