নয়াদিল্লি: ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টেস্ট ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ভারত বনাম ইংল্যান্ড গত টেস্টে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে নামেনি ভারতীয় দল। করোনা আতঙ্কেই মাঠে নামতে চাননি বিরাটরা, এমনই জানানো হয়েছিল। যদিও তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তবে আগামী বছর গ্রীষ্মেই ফের ইংল্য়ান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামছেন বিরাট কোহলিরা। সেখানে একটি মাত্র টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল। তবে তা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের বাতিল টেস্ট নাকি নতুন একটি টেস্টের সিরিজ তা এখনও নিশ্চিত নয়।


উল্লেখ্য, ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ম্যাঞ্চেস্টারে পা রেখেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু এরইমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। আর তারপর বিরাট শিবিরের সহকারী ফিজিও করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরই কোভিড আতঙ্ক বেড়ে যায়। শেষ ম্যাচ আর খেলা হয়নি। কিন্তু ইসিবি এই ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপর। যদিও সূত্রের খবর যে আগামী বছরই গ্রীষ্মে একটি টেস্ট ফের খেলবে বিরাট বাহিনী রুটদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ইংল্য়ান্ডের মাটিতে সেই ২ ম্যাচের ওয়ান ডে ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবে ভারতীয় দল। মনে করা হচ্ছে সেই সময়ই এই বাতিল টেস্টটি আয়োজন করা হবে। তবে এই নিয়ে সরকারি কোনও বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইসিবির সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনার পরই সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হবে।


এদিকে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিল হওয়ার পরই ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ তোপ দেগেছেন, ভারতীয় শিবিরের উদাসীনতাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্ষমতা জাহির করে টেস্ট বাতিল করিয়েছে। কারণ, টেস্ট পিছিয়ে গেলে সামনেই আইপিএল এবং কোটিপতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্বার্থ সুরক্ষিত করাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-জয় শাহদের বোর্ডের প্রধান লক্ষ্য। সুনীল গাওস্কর-ইরফান পাঠানদের মতো ভারতের প্রাক্তন তারকারা আবার ইংল্যান্ড শিবিরকে একহাত নিয়েছেন। তাঁদের মতে, করোনা যে কোনও শিবিরে হানা দিতে পারে এবং তার জন্য কাউকে দোষারোপ করা সঠিক রাস্তা নয়।