গায়ানা : ইংরেজ ব্যাটিং লাইন-আপকে প্রথম ধাক্কাটা দেন তিনিই। তাঁকে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে ঋষভ পন্থের তালুবন্দি হন জস বাটলার। শুধু তা-ই নয়, ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে মূল্যবান ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ইকোনমিক রেট ৫.৮০। তাঁর বোলিং ভেল্কিতে ভর করেই টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের ফাইনালে ওঠার পথ অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। যার ফলস্বরূপ পুরস্কারও এসেছে তাঁর ঝুলিতে। 'প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ'-এর পুরস্কার তুলে নিয়েছেন অক্ষর পটেল। কিন্তু, কোন মন্ত্রে সেমিফাইনালে সাফল্য ? বাঁহাতি স্পিনার এক্ষেত্রে বলছেন, যতি তিনি জোরে বল করতেন তাহলে ৩ উইকেট তুলতে পারতেন না।
অক্ষর পটেল বলেন, "এর আগেও পাওয়ার-প্লে-তে আমি বল করেছি। তাই, পাওয়ার প্লে-তে আমি এবারও বল করব বলে পরিকল্পনা করা হয়। উইকেটে বল থেমে থেমে যাচ্ছিল এবং নিচু হয়ে যাচ্ছিল। তাই ঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করছিলাম। উইকেট ধীর ছিল । তাই এই ম্যাচে বল স্লোয়ার রাখার চেষ্টা করি। যেটা আমার পক্ষে কাজ করে। যদি জোরে বল করতাম, তাহলে তা কাজে আসত না। ৩টে উইকেটও পেতাম না। আমাদের ব্যাটারা বলেন যে উইকেট সহজ নেই। তাই, ১৬০ ভাল রান বলে আমরা মনে করেছিলাম। ওঁদের পার্টনারশিপ (রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব) ছিল চমৎকার। ওঁরা মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মারছিলেন এবং স্ট্রাইক রোটেট করতে থাকেন। এই মুহূর্তে বার্বাডোজ নিয়ে কিছু ভাবছি না। আগে এই প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের মুহূর্ত উপভোগ করব।"
চ্যালেঞ্জিং পিচে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তোলে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড কোনও সময়ই ভারতীয় দলের রানের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে বলে মনে হয়নি। এরপর বল হাতে ভেল্কি দেখানো শুরু করেন ভারতীয় বোলাররা। ইংল্যান্ডের ২৬ রানের মাথায় প্রথম ধাক্কাটা দেন অক্ষর পটেল। তুলে নেন জস বাটলারের উইকেট। দলের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও অক্ষর পটেল। উভয়েই তিনটি করে উইকেট নেন। এই দুইয়ের স্পিন ফাঁদেই ১০৩ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।