কলকাতা: ফের সুনীল ছেত্রীর ম্যাজিক দেখল যুবভারতী। আগের ম্যাচে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফোটা ভারতীয় দল শনিবার যুবভারতীতে মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ভারত (Ind vs Afghanistan)।


ভারত ও আফগানিস্তানের শেষ ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছিল। তবে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের কাছে ২-১ হার সমেত নিজেদের শেষ তিন ম্যাচেই হেরেছিলেন আফগানরা। তাই খাতায় কলমে এই ম্যাচে ভারতই এগিয়ে ছিল।


ম্যাচের শুরুতে দুই দলই সতর্ক ছিল। ভারতের হয়ে এদিন প্রথম এগারোয় সুযোগ পাওয়া আশিক কুরুনিয়ান শুরুতেই বেশ ভাল কয়েকটি ক্রস তোলেন। তবে জমাট রক্ষণে আফগানরা বড় সুযোগ তৈরি হতে দেয়নি। ভারতের হয়ে আশিক, আকাশ মিশ্র, রোশন সিংরা একের পর এক ক্রস তুললেও, বেশিরভাগ সময়েই আফগান বক্সে তা প্রতিহত হয়েছে। 


ভারতের হয়ে কর্ণার থেকে সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) একটি লেট রান নিয়ে প্রায় ফাঁকায় বল পেয়ে যান। তবে তাঁর হেডার অল্পের জন্য গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়। আফগানিস্তান প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেলেও গোল হয়নি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর দিকেই একেবারে মনবীরের ক্রস থেকে সুনীল গোলের সামনে একটু জায়গা পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে গোল হয়নি। ৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় পোস্টে কার্যত ফাঁকা গোলে হায়দারি মাথা ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যেত। তবে তা হয়নি। 


আফগানিস্তানের হয়ে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে জাজাই বড় সুযোগ পান। বক্সের কোনা থেকে হওয়ায় শরীর ভাসিয়ে অসাধারণ শট নেন তিনি। তবে কার্যত গোটা ম্যাচ কিছু না করতে হলেও, সঠিক সময়ে দারুণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে এক অসাধারণ সেভ করেন ভারতীয় গোলকিপার গুরপ্রীত।


আশিককে ফাউল করায় দারুণ এক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় ভারত। ৮৬ মিনিটে এক বিশ্বমানের বাঁক খাওয়ানো ফ্রি-কিকে ভারতকে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। তবে মাত্র দুই মিনিট থাকে সেই লিড। ৮৮ মিনিটে কর্ণার থেকে ভারতের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে প্রথম পোস্টে দুর্ধর্ষ এক হেডারে আফগানদের হয়ে সমতা ফেরান হায়দার আমিরি। ম্যাচ যখন ড্র হবে ভেবে ভারতীয় দলকে হতাশ দেখাচ্ছিল, ঠিক তখনই সুনীলের জায়গায় মাঠে নামা সাহাল আব্দুল সামাদ ঠান্ডা মাথায় অসাধারণ এক ফিনিশে ভারতকে আবারও এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সেই গোল আর শোধ দিতে পারেনি আফগানিস্তান।


ভারতের পরের ম্যাচ হংকংয়ের বিরুদ্ধে ১৪ জুন।


আরও পড়ুন: সেমিফাইনালেও নেই শামি, বিপক্ষ কোচের মগজাস্ত্রই কাঁটা বাংলার