সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এমনিতেই বিধি মেনে চলতে মানসিকভাবে ক্লান্তি অনুভব করছেন খেলোয়াড়রা। এর ওপর যদি প্লেয়ারদের রুমেই বন্দি থাকতে হয়, তাহলে দল সেখানে যাবে না।
টিম ইন্ডিয়ার সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দলের খেলোয়াড়রা সিডনিতে আসার আগে দুবাইতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সিডনিতে আরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হয়েছে। অর্থাৎ, খেলোয়াড়দের বাইরে বেরোনোর আগে কঠোর বাবলে প্রায় এক মাস থাকতে হয়েছে। এরপর আর সফরের শেষে দলের সদস্যরা ফের কোয়ারেন্টিনে যেতে নারাজ।
এরইমধ্যে জল্পনা চলছে যে, কুইন্সল্যান্ড সরকার ভারতীয় দলের জন্য তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি শিথিল না করতে রাজি থাকে, তাহলে সিডনিতেই সিরিজের চতুর্থ টেস্ট হতে পারে। টিম ইন্ডিয়ার ওই সূত্রে আরও বলা হয়েছে, গত ছয়মাস ধরে দলের সদস্যরা প্রায় ছয় মাস লকডাউন ও বাবলের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এটা কারুর পক্ষেই সহজ নয়। সফরে বিধিনিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে। এরপর দলের কেউ আরও একটি কঠোর বাবলে পাঠানো হোক, এমনটা চাইছেন না। অথচ ব্রিসবেনে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।
ওই সূত্র আরও বলেছে, মাঠে যাওয়া ছাড়া বাকি সময়টা যদি আবার হোটেলেই আটকে থাকতে হয়, তাহলে আমরা ব্রিসবেন যেতে আগ্রহী নয়। এর পরিবর্তে সিরিজ সম্পূর্ণ করতে অন্য কোনও শহরে বাকি দুটি টেস্টই খেলতে হলে আপত্তির কিছু নেই। বর্তমানে যা চলছে, তার জটিলতা আমরা জানি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আমরা বাবলের মধ্যে প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা করে চলেছি। কিন্তু সিডনিতে প্রাথমিক কোয়ারেন্টিনের পর বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে সাধারণ অস্ট্রেলিয়দের মতোই একই মাপকাঠি গ্রহণ করা হবে, এমনটাই আশা করেছিলাম।
অজি সংবাদসংস্থা জানিযেছে যে, খেলা বা প্রশিক্ষণ না থাকলে যে রুমেই থাকতে হবে, সে কথা অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারতীয় দলের কাছে এমন কোনও আপডেট এখনও আসেনি। আর এই খবরে অস্ট্রেলিয়া দলও ‘হতাশ’ বলে জানা গেছে।