IND Vs AUS Brisbane Test: গাব্বা টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে ভারত বেশ চাপেই ছিল। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩২৮। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বন্ধ হওযার আগে ভারতের রান ছিল বিনা উইকেটে ৪। পঞ্চম দিনে গাব্বার পিচে ব্যাটিং করাটা আদৌ সহজ ছিল না। পিচে অসমান বাউন্স ও টার্ন মাঝেমধ্যেই সমস্যায় ফেলেছে ব্যাটসম্যানদের। শুরুতেই রোহিত শর্মাকে হারিয়ে ভারতের কাজটা আরও মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু শুভমান গিল ও চেতেশ্বর পূজারা ইনিংসের হাল ধরার পরই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। একদিকে, পূজারার একদিকের উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকার ব্যাটিং, অন্যদিকে শুভমানের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রণকৌশল ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। তাঁদের যুগলবন্দীতেই ভারত প্রথম জয়ের গন্ধ পায়। দুজনের ১১৪ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা প্রায় খতম করে দেয় এই জুটি। যখন টেস্ট কেরিয়ারে শুভমানের প্রথম শতরান নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই নাথন লায়নের শিকার হতে হল তাঁকে। ৯১ রান করে আউট হন তিনি।
ততক্ষণে অবশ্য চতুর্থ ইনিংসে সর্বকনিষ্ঠ ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতরানের কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। ৩২৮ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রিসবেনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ৯১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেললেন শুভমান। ম্যাচের পঞ্চম দিন শুভমান যখন হ্যাজেলউডের বল ওয়াইড কভারে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন, তখন তাঁর বয়স ২১ বছর ১৩৩ দিন।
শুভমানের আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের কিংবদন্তী ওপেনিং ব্যাটসম্যান সুনীল গাওস্করের। ১৯৭০-৭১ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পোর্ট ওফ স্পেনে অভিষেক ম্যাচে গাওস্কর করেছিলেন অপরাজিত ৬৭ রান।

চলতি সিরিজেই মেলবোর্নে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় শুভমানের। এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫,২৫,৫০,৩১, ১ ও ৯১ রানের ইনিংস। অভিষেক সিরিজে ৫০-র বেশি গড়ে ২৫১ রান করেছেন শুভমান।
গাব্বা টেস্ট ছিল চলতি সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ। এর আগে সিরিজের ফলাফল ছিল ১-১। প্রথম টেস্ট জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্ট ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। তৃতীয় টেস্ট ড্র হয়। শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত।