মুম্বই: পারিবারিক কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলবেন না রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁর বদলে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস করতে যাবেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)।
লাফ বিরাটের
প্রায় সাড়ে তিন বছরের খরা মিটিয়ে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বিরাট কোহলি। আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৮৬ রান করেছিলেন কোহলি। তার পুরস্কারও পেলেন। আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের তালিকায় লম্বা লাফ দিলেন বিরাট।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ভারত। গোটা সিরিজে কোহলি, আর অশ্বিন এবং অক্ষর পটেলরা দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। যে কারণে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছেন তাঁরা।
সবচেয়ে বড় লাফটা মেরেছেন বিরাট কোহলি। তিনি এক লাফে র্যাঙ্কিংয়ের আট ধাপ উপরে উঠে এসে ১৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন। একটা সময়ে সব ফর্ম্যাটে বহু দিন বিশ্বের এক নম্বর ছিলেন কোহলিই। কিন্তু ধারাবাহিক ব্যর্থতার জেরে গত বছরের জুলাই মাসে টেস্টে প্রথম ১০ থেকে থেকে ছিটকে যান। এখনও তিনি প্রথম দশে মাথা গলাতে পারেননি।
তবে অজিদের বিরুদ্ধে আমদাবাদ টেস্টে কোহলির ১৮৬ রান নিঃসন্দেহে তাঁর কাছে বড় অক্সিজেন। তিনি ২০২৩ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের সর্বোচ্চ এবং সামগ্রিক ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এ দিকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমে দশে রয়েছেন ভারতের দুই প্লেয়ার। ঋষভ পন্ত রয়েছেন নয়ে। এবং রোহিত শর্মা আছেন ১০ নম্বরে। যাঁরা কোহলির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
এ দিকে অশ্বিন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। তিনি এক নম্বর জায়গা থেকে জেমস অ্যান্ডারসনকে সরিয়ে নিজে সিংহাসনে বসেছেন। দু'জনের মধ্যে এক নম্বর জায়গা দখলেক লড়াই চলছিলই। তবে আমদাবাদে এক ইনিংসে ফের পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন অশ্বিন। তিনি অজিদের প্রথম ইনিংসে মোট ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এই নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩২তম বার তিনি টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন। সেই সঙ্গে তাঁক রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয়ে যায় ৮৬৯। যার ফলে কিংবদন্তি ব্রিটিশ পেসার পিছিয়ে পড়েন। অ্যান্ডারসনের রেটিং পয়েন্ট ৮৫৯। অশ্বিন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চার ম্যাচের সিরিজে ২৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হয়েছেন। তাঁর স্পিন পার্টনার রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে মিলিত ভাবে সিরিজের সেরা হয়েছেন। অশ্বিন এই সিরিজে দু'বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন। নাগপুরে তিনি ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এবং আমদাবাদে ৯১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি এক ইনিংসে মোট চার বার ৩ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।