একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেছেন, ‘অশ্বিনের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো আক্রমণাত্মক দেখিয়েছে। আমার মনে হয় ওরা অশ্বিনের দক্ষতাকে খাটো করে দেখেছিল। ওরা অশ্বিনের বলে রান করতে চাইছিল। কিন্তু সেই কৌশল কাজে লাগেনি।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ২৭-তম ওভারে অশ্বিনকে আক্রমণে আনেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শুরুতেই স্টিভ স্মিথকে (১) ফিরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধাক্কা দেন অশ্বিন। এরপর বাড়তি বাউন্স ও লেংথকে কাজে লাগিয়ে ট্রেভিস হেড (৭), ক্যামেরন গ্রিন (১১) ও নাথান লিয়নকে (১০) ফিরিয়ে দেন অশ্বিন।
এদিনের পারফরম্যান্সের পর ভারতের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেছেন, তিনি লিয়নের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না। কারণ, তাঁদের বোলিংয়ের ধরন আলাদা। তাঁরা নিজেদের মতো করে সাফল্য পেয়েছেন।
টেস্টে এখনও পর্যন্ত ৩৯১ উইকেট নিয়েছেন লিয়ন। অশ্বিনের সংগ্রহ ৩৬৯টি উইকেট। ভারতের এই অফস্পিনার বলেছেন, ‘সব স্পিনারেরই বোলিংয়ের ধরন আলাদা। কখনও কখনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। এই টেস্টেও সেটা হয়েছে। নাথান আর আমি সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বোলিং করি। আমরা আলাদা ধরনের বোলার। আমাদের সাফল্য পাওয়ার ধরনও আলাদা। আমি কোনও নির্দিষ্ট পন্থা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে তোলাই আমার লক্ষ্য।’
অশ্বিন আরও বলেছেন, ‘বিদেশের মাটিতে চার বোলার নিয়ে খেললে আমার লক্ষ্য থাকে একটা দিক আটকে রেখে পেস বোলারদের সাহায্য করে যাওয়া। এরই ফাঁকে শুরুতে উইকেট তুলে নেওয়া বা পরে পিচ থেকে সাহায্য পেলে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ফেরানোর লক্ষ্যে বোলিং করি। ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে টিকে থাকা বা রান করা কঠিন করে তোলাই আমার লক্ষ্য থাকে।’
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দল ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর অশ্বিনদের পাল্টা লড়াইয়ে কোণঠাসা অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছেন স্মিথরা। দ্বিতীয় দিনের শেষ দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর এক উইকেট হারিয়ে ৯। ভারত এখন ৬২ রানে এগিয়ে।