প্রথম সেশনেই অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে আউট হয়ে যাওয়ার পর পন্থকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হয়। টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করে পন্থ ইদানিং কালের অন্যতম সেরা পাল্টা আক্রমণাত্মক ইনিংস খেললেন। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং অজি বোলার ও ফিল্ডারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
স্মিথের ওই ভিডিও সেশনের মাঝামাঝি পর্বের, যখন খেলোয়াড়রা জলপানের বিরতি নিয়েছিলেন। স্ট্যাম্প ক্যামেরায় পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে। ভিডিওতে স্মিথকে ব্যাটিং ক্রিজে এসে বাঁহাতি শ্যাডো ব্যাটিং করতে দেখা যায়। এরপর যা ঘটল, তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল বাঁধে। স্ট্যাম্প ক্যামেরায় স্মিথকে ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং গার্ড মার্ক জুতো দিয়ে কার্যত ঘষে দিতে দেখা গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চতুর্থ উইকেটে পন্থ ও পূজারার ১৪৮ রানের পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। সতর্কতার সঙ্গে ইনিংস শুরুর পর অস্ট্রেলিয়া বোলারদের, বিশেষ করে, নাথন লায়নের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাঁর এই আগ্রাসী স্ট্রোক প্লে বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।
ভারতীয় ইনিংসের ৮০ তম ওভারে লায়নই অবশ্য ফেরান পন্থকে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান দূরে ৯৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। পন্থের পর পূজারাও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি ২০৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হনুমা বিহারীর দৃঢ়তায় ভারত ম্যাচ ড্র করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪০৭ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ৯৮। পঞ্চম দিন শুরুতেই রাহানের উইকেট হারায় ভারত। সেই জায়গা থেকে শেষপর্যন্ত ভারত করে ৫ উইকেটে ৩৩৪। বিহারী ১৬১ বলে ২৩ ও অশ্বিন ১২৮ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে যান।