ওভাল: ব্যাটিং ধসের মধ্যেও একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করলেন তিনি। ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যাওয়া ভারতীয় ইনিংসে সবচেয়ে উজ্জ্বল তাঁর নাম। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ বলে ৫৭ রান করে তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। একই সঙ্গে ওভালে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করে বীরেন্দ্র সহবাগ, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)। অল্পের জন্য বেঁচে গেল কপিল দেবের রেকর্ড।


বৃহস্পতিবার ওভারে মাত্র ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন শার্দুল। ভারতীয়দের মধ্যে যা টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। প্রথমে কপিল দেবের নাম। ১৯৮২ সালে করাচি টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন কিংবদন্তি কপিল। সেটাই টেস্টে ভারতীয়দের মধ্য়ে দ্রুততম। কপিলের পরেই দু'নম্বরে শার্দুল।


চেন্নাইয়ে ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। যিনি বিখ্যাত ছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্যই। ভারতীয়দের মধ্যে টেস্ট ব্যাটিংয়ের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে দিয়েছিলেন বীরু। তাঁকেও এদিন ছাপিয়ে গিয়েছেন শার্দুল। পেরিয়ে গিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও।


ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই সবচেয়ে দ্রুত হাফসেঞ্চুরি। তাঁর আগে ১৯৮৬ সালে এই ওভালেই ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন স্যার ইয়ান বোথাম। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন শার্দুল।


চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অল আউট ভারত। প্রাপ্তি বলতে বিরাট কোহলি ও শার্দুল ঠাকুরের অর্ধশতরান। দুরন্ত বোলিং করলেন ইংল্য়ান্ডের বোলাররা। এদিন ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন দলের মিডল অর্ডারের ২ স্তম্ভ চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে। তবে সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ভারত অধিনায়ক।


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। ভারতীয় দলে চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ শামি। তাঁদের বদলে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন শার্দুল ঠাকুর ও উমেশ যাদব। প্রথম টেস্টের পর ফের চতুর্থ টেস্টে দলে ফিরেছেন শার্দুল। অন্যদিকে গত বছর মেলবোর্ন টেস্টের পর ফের টেস্ট স্কোয়াডে ফিরেছেন উমেশ যাদব। অন্যদিকে ইংল্য়ান্ড স্কোয়াডে ফেরার পর প্রথম একাদশেও জায়গা করে নেন ক্রিস ওকস।