আমদাবাদ: ভারতীয় ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিখ্যাত দু’জন প্রাক্তন ক্রিকেটার-মহিন্দর অমরনাথ ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু দল হিসেবে ভারত এতদিন ধারাবাহিকভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেনি। বর্তমান ভারতীয় দল কিন্তু ব্যতিক্রম। সেই অস্ট্রেলিয়া সফর থেকেই সিরিজে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে চলেছে ভারত। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে থাকুন বা বিরাট কোহলি, প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিকতা বদলাচ্ছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে পরের তিনটি ম্যাচই জিতে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। এবার টি-২০ সিরিজেও পিছিয়ে পড়ে মরণ-বাঁচন ম্যাচ জিতে দুর্দান্তভাবে ফিরে এল ভারতীয় দল।


চলতি টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পান বিরাটরা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ফের জয় পায় ইংল্যান্ড। ফলে সিরিজে টিকে থাকতে হল চতুর্থ ম্যাচ জিততেই হত ভারতকে। এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলাররাও ভাল পারফরম্যান্স দেখালেন। ফলে সিরিজে সমতা ফেরাতে পারল ভারত। শনিবার পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচেই সিরিজের ফয়সলা হবে।


চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ভারতীয় দলের জয়ের নায়ক সূর্যকুমার যাদব। তিনি এই সিরিজেই প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে খেললেও, ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি তিনি। তৃতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। চতুর্থ ম্যাচে অবশ্য ঈশান কিষাণের বদলে সুযোগ আসে। এদিন ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনালেন সূর্যকুমার। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। এদিন তিনি ৩১ বলে ৫৭ রানে ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করেন সূর্যকুমার।


বল হাতে ভাল পারফরম্যান্স দেখান শার্দুল ঠাকুর। তিনি ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দু’টি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য ও রাহুল চাহার। একটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার।