আমদাবাদ: টেস্ট সিরিজ ৩-১ জিতলেও, টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারতীয় দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই হারতে হল ভারতীয় দলকে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ভারতীয় দল। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। শ্রেয়স আয়ার একা লড়াই করেন। তাঁকে কিছুটা সাহায্য করেন ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পাণ্ড্য। শ্রেয়স ৪৮ বলে ৬৭ রান করেন। পন্থ ২১ ও হার্দিক ১৯ রান করেন। ভারতের এই তিন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিরা কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। শিখর ধবন ৪, কে এল রাহুল ১, অধিনায়ক বিরাট কোহলি ০, শার্দুল ঠাকুর ০ রান করেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ৩ ও অক্ষর পটেল ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জোফরা আর্চার।
ভারতের ব্যাটসম্যানদের মতোই বোলাররাও ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। সহজেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। জেসন রয় ৪৯, জশ বাটলার ২৮ রান করেন। ডেভিড মালান ২৪ ও জনি বেয়ারস্টো ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
এই হারের পর বিরাট বলেছেন, ‘আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের ঠিকমতো পরিকল্পনা করে আরও ভাল খেলার ইচ্ছা নিয়ে ফিরে আসতে হবে। যে ধরনের শট খেলতে চাইছিলাম, এই উইকেটে সেই শট খেলা সম্ভব হয়নি। আমাদের ব্যাটিং বিভাগের পারফরম্যান্স ভাল হয়নি। তার ফল ভুগতে হল। শ্রেয়স ভাল ব্যাটিং করেছে, কিন্তু আমরা যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে এই পাঁচটি ম্যাচই আছে। আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তবে একইসঙ্গে হাল্কাভাবে নিলেও চলবে না।’
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান তাঁর দলের দুই পেসার আর্চার ও মার্ক উডের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিং বিভাগেও সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা রয়েছে। সবারই সেরা পারফরম্যান্স দেখানো জরুরি।
ম্যাচের সেরা আর্চার বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতা যখন কঠিন, তখনই সেরা পারফরম্যান্স বেরিয়ে আসে। ইংল্যান্ড দলে বিশ্বমানের বোলাররা আছেন। আমি পাওয়াল প্লে-তে উইকেট নেওয়ার চেয়ে ডট বল করার উপরেই বেশি জোর দিই। উইকেট পেলে সেটা বোনাস। আজ সবকিছুই ঠিকঠাক হয়েছে।’