টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সে হকিতে ব্রোঞ্জ ভারতের। জার্মানিকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ মেডেলের ম্যাচে জয় হাসিল করে নিলেন মনদীপ, সিমরনজিতরা। অলিম্পিক্সে ভারতের পঞ্চম পদক চলে এল। এদিন ৫-৪ গোলে তাঁরা হারিয়ে দিল জার্মানিকে। কড়া টক্কর শেষে শেষ হাসি হাসলেন মনপ্রীতরাই। 


এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যদিও পিছিয়ে ছিল ভারত। কারণ প্রথম কোয়ার্টারেই ১-০ গোলে পিছিয়ে যায় তাঁরা। আক্রমণভাগে প্রথম দিকে ভারতের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল জার্মানরা। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই ম্যাচে ফিরে আসে ভারতীয় দল। এই কোয়ার্টারে পরপর ২টো গোল করে ম্যাচে এগিয়ে যায় তাঁরা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই গোল করেন সিমরনজিৎ। কিন্তু এরপরই টানা ২ গোল করে বড় লিড নিয়ে নেয় জার্মানরা। এক সময়ে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় জার্মান ব্রিগেড। 


কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফের ফিরে আসে ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষে হার্দিক সিংহ ও হরমনপ্রীতের গোলে সমতা ফেরায় ভারতীয় দল। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় ভারত। সেখান থেকে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান রুপিন্দর পাল সিংহ। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ফের লিড বাড়িয়ে নেয় ভারতীয় দল। এবার নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সিমরনজিৎ। 


চতুর্থ কোয়ার্টারে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে জার্মানি। এই জন্য গোলরক্ষককে বসিয়ে একজন ফিল্ড প্লেয়ারকে নামায় জার্মানরা। কিন্তু তাতেও ভারতের জয় আটকাতে পারেনি তাঁরা। পি আর শ্রীজেশ একাই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন এদিন গোলপোস্টের নীচে। শেষ পর্যন্ত একটি গোল শোধ করে জার্মানি, তবে তা তাদের জয়ের জন্য কখনওই যথেষ্ট ছিল না। 


১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সে শেষবার ভারতের হকি দল পদক জিতছিল। সেবার হকিতে সোনা জিতেছিল ভারত। এবারও সোনা জয়ের লক্ষ্যেই ছিল তাঁরা। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া বাদ দিয়ে সব দলের বিরুদ্ধেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে তাঁরা। কিন্তু সেমিতে এসে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে হার মানতে হয় মনপ্রীত, শ্রীজেশদের। যদিও টোকিও থেকে পুরোপুরি খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না ভারতীয় হকি দলকে।