ওয়েলিংটন: ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের চলতি টি ২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও টানটান থ্রিলার। এর আগে রুদ্ধশ্বাস তৃতীয় ম্যাচ সুপার ওভারে জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছিল ভারত। চতুর্থ ম্যাচেও একইভাবে খাদের কিণারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল বিরাট কোহলির দল। শেষ ওভারে শার্দূল ঠাকুরের অনবদ্য বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড জয়ের জন্য সাত রান তুলতে পারল না। টাই হল ম্যাচ। এরপর সুপার ওভারে জিতল ভারত।  পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত এখন ৪-০ এগিয়ে। ম্যাচের অন্যতম নায়ক হয়ে উঠলেন কে এল রাহুল। শেষ ওভারের শেষ বলে শুধু রান আউটই করলেন না, সুপার ওভারের প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেন রাহুল।  পরের বলেই বাউন্ডারি মারেন তিনি।  এদিন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন শার্দূল ঠাকুর।


সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ১৩ রান। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। প্রথম বলে ছয় ও পরের বলে চার মেরে কাজটা অনেক সহজ করে দেন রাহুল। তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি।

পরের বলে কোহলি অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে দুরন্ত রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটে দুই রান নেন।  পরের বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয় এনে দেন।

ম্যাচের পর কোহলি জানিয়েছেন, দল সুপার ওভারে সঞ্জু স্যামসন ও কেএল রাহুলকে পাঠাতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। পরে রাহুল অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে কোহলিকে ব্যাটিং করতে নামতে রাজি করান।
কোহলি বলেছেন, প্রথমে সঞ্জু ও রাহুলকে পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কেননা, ওরা বলে ভালোভাবে স্ট্রাইক করতে পারে। কিন্তু পরে আমি নামি। কারণ, আমি বেশি অভিজ্ঞ এবং চাপের মুখে পরিস্থিতি সামলানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
কোহলি বলেছেন, সুপার ওভারে টিম সাউদির প্রথম দুটি বলে ওই ধরনের বড় শট ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তখন আমি ভেবেছিলাম যে, ফিল্ডিংয়ের ফাঁকে বল পাঠিয়ে রানটা তুলে নিতে পারব। সুপার ওভারে আমি এর আগে খেলিনি। দলকে জিতিয়ে খুশি।
কোহলি বলেছেন, এই দুটি ম্যাচ থেকে  শিখলাম যে,  বিপক্ষ যখন ভালো খেলছে, তখন   শান্ত থাকতে হবে, কী ঘটছে, তা লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সুযোগ এলে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। পরপর দুটি ম্যাচে এ ধরনের ফিনিসের চেয়ে আর ভালো কী হতে পারে। এর আগে আমরা কখনও সুপার ওভার খেলিনি। এখন পরপর দুটি খেললাম। এভাবে হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো, দলের চরিত্রই তুলে ধরে।