ওয়েলিংটন: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টি ২০ সিরিজে দাপট দেখাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দুটি ম্যাচে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার টি ২০ সিরিজ জয়ের আশা উজ্জ্বল হয়েছিল। তৃতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলে ভারত। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের ফয়সালাও হয় সুপার ওভারে। তৃতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে মহম্মদ শামির দুরন্ত বোলিংয়ে ভারত কার্যত হারের মুখ থেকে ফিরে আসে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। চতুর্থ ম্যাচে শেষ ওভারে শার্দূল ঠাকুরের দুরন্ত বোলিং নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশা নির্মূল করে দেয়। স্কোর টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে ভারত ম্যাচ জেতে।
শেষ ওভারে বোলিংয়ের সময় মাথায় কী চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করছিল, তা জানালেন শামি ও শার্দূল। শামি জানিয়েছেন, তিনি খুবভালপো ইয়র্কার বল করার চেষ্টা করছিলেন। প্রথম বলে এই চেষ্টা করতে গিয়ে বল হাতে ফস্কে যায়। ফলে ওই বলে ছয় রান হয়। এরপর আমার আর তেমন কিছু করার ছিল না। আমি ভাবছিলাম, কীভাবে রান না দেওয়া যায়। আমার মনে হয়েছিল, আমরা তো আগেই হেরে গিয়েছি। তাই আমি ভাবলাম, কিছু বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা করি। এতে উইলিয়ামসন আউট হয়ে যায়। আমার মনে হয়েছিল, ষষ্ঠ বলে কাজ হবে। স্কোর সমান সমান হয়ে যাওয়ায় আমার কাছে একটাই বিকল্প ছিল, তা হল রান না দেওয়া। এবং সেজন্য ইয়র্কার দিলাম এবং এতে কাজ হল।
উল্লেখ্য, শামির ওই ওভারে নয় রান করলেই ম্যাচ জিতে যেত নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শামির দুরন্ত বোলিং তাদের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেয়।
চতুর্থ ম্যাচের সেরা শার্দূল বলেছেন, প্রচুর চাপ ছিল। আমি প্রথম বল থেকেই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি। ব্যাটসম্যানরা সাধারণত চার বা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ তাড়াতাড়ি শেষ করতে চায়। আমি ভেবেছিলাম যে, মন্থর বল করব এবং ব্যাটসম্যানকে বড় শট খেলতে প্রলুব্ধ করব। সেই পরিকল্পনা কাজে আসে।
শার্দূল বলেছেন, দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হওয়ায় সমস্যায় পড়ে যাই। কিন্তু আশা ছাড়িনি। আমি দেখিছিলাম যে, শামি ভাই প্রথম বলে ছক্কা হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এবং তিন বলে পাঁচ রান বাঁচিয়েছিল। তখন যদি এমনটা হতে পারে, তাহলে তা আবারও হতে পারে।