সেঞ্চুরিয়ন:  দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের। ভারত এই টেস্টে তিন সিমার ও একমাত্র স্পিনার আর অশ্বিনকে নিয়ে নামছে। প্রথম একাদশে রয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে।


ভারতের প্রথম একাদশ- কেএল রাহুল, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, আর অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ


 


দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম একাদশ- ডিন এলগার (অধিনায়ক), এইডেন মাকরাম, কিগান পিটারসেন, রসি ভ্যান ডের হুসেন, টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো জ্যানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিডি


 


টসে জেতার পর অধিনায়ক কোহলি বলেন, উইকেট খুবই ভালো দেখাচ্ছে। ঘাসও রয়েছে। পিচ দ্রুতগতিরই হবে বলে মনে হচ্ছে।  তাই বোর্ডে রান তুলতে পারলে তা সুবিধাজনক হবে। এটা চ্য়ালেঞ্জিং। আমরা যে সিরিজ খেলেছিলাম, সেখান থেকে আমাদের সাফল্য শুরু হয়েছিল। গত সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে জিতেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার দল খুবই শক্তিশালী। ওদের বোলাররাও খুবই ভালো। এখানে কোন লাইন ও লেংথে বল করলে ঠিক হবে, তা ওদের বোলারদের জানা আছে। ম্যাচের আগে আমরা ভালো প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছি। আমরাও এখানে কোথায় বল ফেলতে হবে, বল কীভাবে ক্যারি করতে হবে জানি। আমরা তিন সিমার ও অলরাউন্ডার অশ্বিনকে নিয়ে নামছি।


নেতৃত্ব বিতর্ক, রান না পাওয়া, বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সবকিছু মাথায় নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা (south africa) সফরে খেলতে এসেছেন বিরাট। প্রথম টেস্ট শুরু আগের দিন বিসিসিআই-এর ওয়েব সাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন, “কোহলির যখন অভিষেক হয় তখন আমি সেখানে ছিলাম। ওর প্রথম টেস্ট ম্যাচের সময়ও আমি ছিলাম এবং ওর সঙ্গে সেই ম্যাচে ব্যাটও করেছি।” ২০১১ সালে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইনিংসের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪ ও ১৫ রান করেন। ২ বারই বিরাটের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন দ্রাবিড়। ভারতীয় দলের হেডস্যার বলেন, “গত ১০ বছরে ক্রিকেটার হিসেবে যে অভাবনীয় উন্নতি করেছে বিরাট, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ওর পারফরম্যান্সই সে কথা বলে দিচ্ছে। যে ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে তাও অসাধারণ। দলের মধ্যে ফিটনেস এবং শক্তির স্ফূরণ নিয়ে এসেছে ও। ওর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এখনও উন্নতি করে চলেছে ও।”