কলম্বো: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে কোণঠাসা ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করে শিখর ধবনরা আটকে গেলেন মাত্র ৮১/৮ স্কোরে। শ্রীলঙ্কার সামনে জয়ের লক্ষ্য মাত্র ৮২ রানের। অলৌকিক কিছু না ঘটলে এখান থেকে ভারতের ম্যাচ জেতা কঠিন।




বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধবন। করোনার ধাক্কায় জর্জরিত ভারতীয় শিবিরের সেরা ভরসা ছিলেন ধবন। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এই সফরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়া ধবনই। তবে বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। কোনও রান না করেই।


তারপর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। একটা সময় ৩৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করেন দুই বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ও 4কুলদীপ যাদব। ভুবনেশ্বর ১৬ রান করেন। আর চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই দুজনের জন্যই আরও বড়সড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় ভারত। ১০ ওভারে এদিন মাত্র ৩৯ রান তুলেছিল ভারত। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দশ ওভারে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। তবু ভুবি ও কুলদীপের ব্যাট হাতে লড়াইয়ের জন্য টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর এদিন পেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন দল। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭৪ রান করেছিল ভারত। সেটাই এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। এদিন অল্পের জন্য সেই লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ভারত।


কুলদীপ ও ভুবনেশ্বর ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন একমাত্র রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি ১৪ রান করে আউট হন। নিজের ২৪তম জন্মদিনে বল হাতে নায়ক শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নেন।


পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় দু'নম্বরে উঠে এল ভারতের এদিনের স্কোর। ২০১০ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০ ওভার খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ৭৯/৭। সেটাই ২০ ওভার ধরে চলা কোনও ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর।