মুম্বই: বন্যার জল নেমে গেলেও চিন্তা কমছে না। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বলছে, গত এক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের পশ্চিম ও  উপকূলবর্তী এলাকায় ধাপে ধাপে জলস্তর কমেছে। যদিও মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩। এখনও বন্যায় ঘরছাড়া ৫৩,২৯৫ জন।


সাতদিন কেটে গেলেও ভয়াবহ বন্যার রেশ থেকে মুক্তি পেল না মহারাষ্ট্র।এখনও ৫০ হাজাররে বেশি মানুষ ৩৪৯টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৮ জনের। মুম্বই ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫২ জন। বেগতিক দেখে ত্রাণের জন্য আরও টাকা রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল (SDRF)থেকে দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। 


মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের অনেক জায়গা থেকে এখনও বন্যার জলস্তর নামেনি। সেই সব জায়গায় মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলবে। পাশাপাশি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখতে অঞ্চলগুলিতে ভিজিট করবে সরকারের প্রতিনিধি।জীবনযাত্রার অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে বন্যাদুর্গতদের হাতে।


মহারাষ্ট্রের বন্যায় ক্ষতির পরিসংখ্যান বলছে, ৪,৩৫,৮৭৯ জনকে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বহু মানুষের বাড়ি বন্যায় ভেসে গিয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় বন্যার জলস্তর ২০ ফুট পেরিয়ে গেছে। যার ফলে পাকা বাড়িও জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে।বন্যার ফলে রাজ্যের ১৩৫১ গ্রাম সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


বন্যার জলে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে পশ্চিম মহারাষ্ট্রে।রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে- সাঙ্গলি, কোলাপুর, সাতারা, পুণে ছাড়াও আরও বেশকিছু জেলায় প্রচুর দুর্গতদের উদ্ধার করতে হয়েছে। একই পরিস্থিতি হয়েছে থানে রত্নগিরি, রায়গড়ে। বন্যার বিষয়ে এনসিপি- প্রধান শরদ পওয়ার ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানান, বহু ঘরবাড়ি ছাড়াও রাস্তা ও কৃষি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে।


ইতিমধ্যেই রাজ্যে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ১৬টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ১৩১টি বোট ও ভারতীয় সেনার তিনটি দল এখনও বন্যাপীড়িতদের পাশে রয়েছে। মানুষের পাশাপাশি পশুদেরও উদ্ধার করছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি বলছে, গত ২২ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় রাজ্যে। যার জেরে পশ্চিম ও মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়।রেকর্ড বৃষ্টিপাতের জেরে বহু জায়গায় ধস নামে। এ ছাড়াও বন্যার কবলে প্রাণ হারান বহু মানুষ।