কলম্বো: টানা ৮টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর অবশেষে থমকে গেল ভারতের বিজয়রথ। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে হেরে গেল ভারত। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।
টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর অবশেষে জয়ের রাস্তায় ফিরল শ্রীলঙ্কা। ঘটনা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এসেছিল দাসুন শানাকার নেতৃত্বেই, ২ বছর আগে, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করে শিখর ধবনরা আটকে যান মাত্র ৮১/৮ স্কোরে। শ্রীলঙ্কার সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮২ রানের।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধবন। করোনার ধাক্কায় জর্জরিত ভারতীয় শিবিরের সেরা ভরসা ছিলেন ধবন। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এই সফরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়া ধবনই। তবে বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। কোনও রান না করেই।
তারপর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। একটা সময় ৩৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করেন দুই বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ও কুলদীপ যাদব। ভুবনেশ্বর ১৬ রান করেন। আর চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই দুজনের জন্যই আরও বড়সড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় ভারত। ১০ ওভারে এদিন মাত্র ৩৯ রান তুলেছিল ভারত। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দশ ওভারে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। তবু ভুবি ও কুলদীপের ব্যাট হাতে লড়াইয়ের জন্য টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর এদিন পেরিয়ে যেতে সক্ষম হয় রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন দল। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭৪ রান করেছিল ভারত। সেটাই এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। এদিন অল্পের জন্য সেই লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ভারত।
কুলদীপ ও ভুবনেশ্বর ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন একমাত্র রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি ১৪ রান করে আউট হন। নিজের ২৪তম জন্মদিনে বল হাতে নায়ক শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নেন।