হারারে: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পেল ভারত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল জিতল ৯ উইকেটে। অভিষেক ম্যাচেই শতরান করলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর আগে রবিন উথাপ্পা ২০০৬ সালে ইন্দোর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ৮৬ রান করেছিলেন। এদিন সেই রেকর্ড টপকে গেলেন রাহুল।


 

এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৫ ওভারে ১৬৮ রানে অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। ধবল কুলকার্নি, বরিন্দর স্রান, যশপ্রীত বুমরাহরাই জিম্বাবোয়ের ব্যাটিং লাইনআপকে ধরাশায়ী করে দেন। গ্রেম ক্রেমারের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন এলটন চিগুম্বুরা। বুমরাহ ২৮ রান দিয়ে চার উইকেট দখল করেন। কুলকার্নি ও স্রান দুটি করে উইকেট নেন।

 

এদিন সকালে বল স্যুইং করছিল। উইকেট থেকে সাহায্য পেয়ে স্রান, বুমরাহরা জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যান শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেন। তাঁদের আক্রমণের সামনে চিগুম্বুরা ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যানই বিশেষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। একসময় মনে হচ্ছিল জিম্বাবোয়ে ১৫০ রানও করতে পারবে না। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে চিগুম্বুরা ও সিকন্দর রাজা (২৩) ৩৮ রান যোগ করে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন।

 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান এদিনই অভিষেক হওয়া করুণ নায়ার (৭)। তবে এদিনই প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা লোকেশ রাহুল (অপরাজিত ১০০) এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অম্বাতি রায়াডু (অপরাজিত ৬২) ভারতকে জয় এনে দেন। ৪৫ বল বাকি থাকতেই জিম্বাবোয়ের রান টপকে যায় ভারত।

 

এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ড গড়ল ভারতীয় দল। এদিন ৩০ ওভারে মাত্র ৯১ রান করে জিম্বাবোয়ে। ১০ বছরের মধ্যে এটাই ভারতের বিরুদ্ধে ৩০ ওভারে কোনও দলের সর্বনিম্ন রান। ৪০ বছর পরে এদিনই ফের একদিনের ম্যাচে ভারতের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যানের অভিষেক হল। ১৯৭৬ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল দিলীপ ভেঙ্গসরকার ও পার্থসারথী শর্মার।