অকল্যান্ড: ইডেন পার্কে ভারতের লক্ষ্য ছিল ২০৪ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল বিরাট ব্রিগেড। সৌজন্যে কে এল রাহুল ও শ্রেয়স আইয়ারের বিধ্বংসী ব্যাটিং। ২৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে মঞ্চ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন রাহুল। সঙ্গে অবশ্যই বলতে হবে বিরাটের ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের কথাও। তবে শেষে এসে বাজিমাত করলেন ৪ নম্বরের শ্রেষ্ঠ দাবিদার শ্রেয়স আইয়ার। আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক এদিন নায়কোচিত ইনিংস খেলে ভারতকে জয় এনে দিলেন। ২৯ বলে শ্রেয়সের অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসের সুবাদেই এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। তাঁর ইনিংস সাজানো রয়েছে ৩টি ওভার বাউন্ডারি এবং ৫টি বাউন্ডারিতে।

এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। শুরুটা ভারতের পক্ষে ভাল না হলেও ইডেন পার্কের মতো তুলনায় ছোট মাঠে ২০৩ রানের মধ্যেই নিউ জিল্যান্ডকে আটকে রাখতে পারে ভারতীয় বোলাররা। বিরাট কোহলি নিজেও সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন, কলিন মুনরো (৫৯), কেন উইলিয়ামসন (৫১) এবং রস টেলর (৫৪) যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল স্কোর ২৩০-ও হতে পারে। তবে শেষের দিকে ব্ল্যাকক্যাপসদের ব্যাটিং ঝড় অনেকটাই শান্ত করে দেন যশপ্রীত বুমরাহ।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রোহিতের উইকেট হারালেও হাল ধরেন রাহুল ও বিরাট। তাঁদের যুগলবন্দিই এগিয়ে নিয়ে যায় ভারতকে। এরপর শ্রেয়সের অনবদ্য ফিনিশে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় অর্জন করে নিল ভারত। ম্যাচের নায়ক ম্যাচ শেষে বলে গেলেন, অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে আনার আনন্দ একেবারে আলাদা। শ্রেয়সের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন সুনীল গাওস্করও।

৫ ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয়ে এগিয়ে থাকল বিরাট ব্রিগেড। পরবর্তী ম্যাচ রবিবার। ওই ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে এই অকল্যান্ডের ইডেন পার্কেই।