নয়াদিল্লি: দেশকে অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে পদক এনে দেওয়ার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। প্রথমবার জ্যাভলিনে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন নীরজ চোপড়া। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সংবর্ধনা মঞ্চে এসে নিজের সোনার মেডেলটি হাতে ঝুলিতে পানিপথের তরুণ বলেন, 'এই সোনা শুধু আমার নয়, গোটা দেশের।পদক জয়ের পর থেকে আমি খেতে ও ঘুমোতে পারিনি। সোনার পদকটি প্যান্টের পকেটে নিয়ে ঘুরতাম। অলিম্পিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বীতা ভীষণই কঠিন ছিল। যোগ্যতা অর্জন পর্ব উতরে যাওয়ার পরই ভেবে নিয়েছিলাম যে সুযোগ এসেছে। আমাকে তা কাজে লাগাতে হবেই। কোনওভাবেই তা হারলে হবে না।'
কুস্তিতে এবার দুটো পদক পেয়েছে ভারত। রবি কুমার দাহিয়া রুপো জিতেছেন। সুশীল কুমার ও যোগেশ্বর দত্তের ভক্ত রবি এদিন বলেন, 'সামনে থেকে অনেককেই দেখেছিলাম কুস্তিতে পদক জিততে। সুশীল কুমার ও যোগেশ্বর দত্ত পদক পেয়েছিলেন। আমি দেখেছিলাম ওঁরা কতটা সম্মান পেয়েছিল এরপর। তা দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। ওদের মতোই কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। আজ তার জন্যই হয়ত এখানে দাঁড়িয়ে আছি।' কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জয়ী বজরং পুনিয়া বলেন, 'সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর আমি নিজেকে ঘরবন্দি করে নিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে কথাও বলিনি। পরের দিন মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। কিন্তু মা আমার হাঁটুর চোট নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন। প্রত্যেক বাবা- মাই তাঁদের সন্তানের শারীরিক সুস্থতার কথাই বেশি ভাবেন। তবে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচ আমি হাঁটুর ক্যাপ ছাড়াই খেলতে নেমেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল যে এই ম্যাচ আমার জীবন বদলে দিতে পারে। তাই নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম।'
প্রথমবার অলিম্পিক্সে নেমেই বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতে নজর কেড়েছেন লভলিনা বড়গোহাঁই। তিনি বলেন, 'দেশে ফেরার পর ভীষণ ভাল লাগছে। দেশের জন্য আরও আরও পদক আনতে পরিশ্রম করেই যাব একইভাবে। প্যারিস অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে দেশকে যাতে সোনা এনে দিতে পারি, সেটাই আমার লক্ষ্য।'