পাথুম থানি: গত ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছিল ভারতীয় ফুটবল দলের ছোটরা (Indian U-17 football team)। কিন্তু এবার আর হল না। অনূর্ধ্ব ১৭ এএফসি এশিয়ান কাপে (AFC U-17 Asian Cup) উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল ব্লু কোল্টসদের। কঠিন প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও শেষমেশ ১-০ পরাজিত হল ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ দল।


ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ১-১ ড্রয়ের ম্যাচ থেকে ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ দলের কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্ডেজ এই ম্য়াচে ভারতের প্রথম একাদশে একটিই বদল ঘটিয়েছিলেন। আকাশ তির্কির বদলে দলে সুযোগ পান থাংলালসুউন গাংটে। খাতায় কলমে উজবেকিস্তান অধিক শক্তিশালী দল বলে অনেকেই মনে করছিলেন। ম্যাচে তার প্রমাণও হাতে নাতে মিলল। গত ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জাপানকে ১-১ গোলে ড্র করে রুখে দিয়েছিল উজবেকিস্তান। এদিনও প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়টাই তারা ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলেই রাখে।


ভারতীয় দল প্রতিআক্রমণে গোল করার চেষ্টা করলেও, তেমন দাঁত ফোটাতে পারেননি কোনও খেলোয়াড়ই। মূলত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেই উজবেকিস্তানের আক্রমণকে প্রতিহত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ভারত। এই পরিকল্পনায় গোল করার তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, উজবেক আক্রমণও রুখে দিতে সক্ষম হচ্ছিল ভারত। উজবেকিস্তানের ফুটবলাররা দূরপাল্লার শট নিয়েই বারংবার গোল করার প্রচেষ্টায় ছিলেন। আব্দুলবরিয়েভ ও করিমভ ম্যাচের ২০ মিনিটের পর গোলের দু'টি বড় সুযোগ পেলেও, তাদের শট অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।


ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় ভারতীয় দল প্রথম বড় সুযোগ পায় প্রতিআক্রমণ থেকেই। ভারতের অধিনায়ক লালফেকুয়া রালতে বাঁ-দিক থেকে একটি ক্রস বাড়ান। তবে উজবেক গোলরক্ষক তা নিজের দস্তানা দিয়ে গোল থেকে দূরে ঠেলে দেন। প্রথমার্ধে গাংটেও গোল করার একটি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি। গোলশূন্যই শেষ হয় প্রথমার্ধ।


দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় দল তুলনামূলক আরেকটি আগ্রাসী ফুটবল খেললেও, উজবেকিস্তানই ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবর্ত হিসাবে নামা আকাশ কিন্তু ভারতের হয়ে কিছুটা আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ৮২ মিনিটে রেইমভ ডান পায়ের একটি ভলিতে ভারতের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে উজবেকিস্তানকে লিড এনে দেয়। গোল হজম করার পরেই তেড়েফুরে আক্রমণ গড়ে তুলে ম্যাচে ফেরার একটি প্রচেষ্টা করে ভারতীয় তরুণরা।তবে তাতে তারা সাফল্য পায়নি। ম্যাচ উজবেকিস্তানের পক্ষেই ১-৯ শেষ হয়।     


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: লেখার দক্ষতা বাড়াতে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে?