নয়াদিল্লি: প্য়ারিস অলিম্পিক্সে সুযোগ থাকলেও পদক হাতছাড়া হয়েছিল। এরপরই পেশাদার কুস্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার অবসরের সিদ্ধান্ত ভেঙে ফের কুস্তিতে ফিলেন বিনেশ ফোগত। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে অবসর ভেঙে ফেরার কথা জানালেন বিনেশ নিজেই। মাত্র ১০০ গ্রাম ওজনের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল প্যারিসে। তবে ফের অলিম্পিক্সে অংশ নিয়ে লস এঞ্জেলসে পদক জিততে চান বিনেশ।
নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে বিনেশ লিখেছেন, ''প্যারিসই শেষ কি না, তা লোকে বার বার জিজ্ঞাসা করেছে। দীর্ঘ দিন আমার কাছে কোনও উত্তর ছিল না। কুস্তির ম্যাট থেকে, এমনকি চাপ, প্রত্যাশা এবং উচ্চাশা থেকেও দূরে থাকা দরকার ছিল। কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম বার নিজেকে শ্বাস নিতে দিলাম। আমার যাত্রাপথটাকে আরও এক বার তাকিয়ে দেখলাম। সাফল্য, হতাশা, আত্মত্যাগ— এমন জিনিস যা বিশ্ব কোনও দিন দেখেনি। পেছন ফিরে দেখতে গিয়ে আমি সত্যিটা খুঁজে পেলাম। এখনও খেলাটা ভালবাসি। এখনও লড়াইয়ে নামতে চাই। আমি উপলব্ধি করি, অবসর নিলেও আমার জীবনটা এখনও ম্যাটেই পড়ে আছে।''
বিনেশ আরও লিখেছেন, ''আমি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সের জন্য ফিরে এলাম। কিন্তু এ বারের যাত্রায় আমি একা নই। আমার সন্তানও আমার দলে যোগ দিয়েছে। আমাদের দলের কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে। ও-ই আমার অনুপ্রেরণা। আমার শক্তি।''
অলিম্পিক্স থেকে ফেরার পর হরিয়ানা সরকার বিনেশের কাছে কিছু প্রস্তাব রেখেছিল। সেই রাজ্যের ক্রীড়ানীতি অনুযায়ী অলিম্পিক্সে পদকজয়ীকে জমি, সরকারি চাকরি অথবা টাকা এই তিনটের মধ্যে বেছে নিতে বলা হয়। বিনেশ ৪ কোটি টাকা বেছে নেন। সেই বিষয়ে ক্রীড়ামন্ত্রককে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তারকা কুস্তিগির। এবার সেই অর্থ দিয়েই বিশ্বমানের অ্য়াকাডেমি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিনেশ। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিনেশ লিখেছিলেন, ''যখন একজন প্লেয়ারের পরিশ্রম, কষ্ট কাজে দেয়, তখনই আসল পুরস্কার তা। আমার ওপর দেশবাসী বিশ্বাস করেছে। অনেকেই আমার পরিশ্রমের কুর্ণিশ করেছে। অনেক সম্মান, ভালবাসা, উৎসাহ পেয়েছি। এবার মনে হয় তা ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। আমি শুধু নিজেই স্বপ্ন দেখব এমনটা নয়। আরও আমার মত হাজার হাজার ক্রীড়াবিদ যাঁরা স্বপ্ন দেখতে চাই। স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চায়, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমি। হরিয়ানা সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে চাই।''