অ্যাডিলেডে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির প্রথম টেস্টের শুরুর দুদিন ধরে চালকের আসনে ছিল ভারত। তবে তৃতীয় দিন আচমকাই বিপর্যয়। ব্যাটিংয়ে লজ্জার আত্মসমর্পণ করে বসেন ক্রিকেটারেরা। মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যায় বিরাট কোহলি-অজিঙ্ক রাহানে সমৃদ্ধ ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন অজি পেসার জশ হ্যাজলউড। প্যাট কামিন্স পেয়েছেন ৪ উইকেট।
ম্যাচের পর ট্যুইট করেন আফ্রিদি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাক তারকা লেখেন, ‘কামিন্স আর হ্যাজলউড অনবদ্যো বোলিং করেছে। অনেকদিন পর টেস্টে দুর্দান্ত মানের ফাস্ট বোলিং দেখলাম।’ সঙ্গে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে তবে সেটা কোহলি-হীন দলের পক্ষে কঠিন।’
৪, ৯, ২, ০, ৪, ০, ৮, ৪, ০, ৪, ১। না কোনও ফোন নম্বর নয়, এটা অ্যাডিলেডে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোরকার্ড। একজন ব্যাটসম্যানও দুই অঙ্কের স্কোরে পৌঁছতে পারলেন না। আর যার নিটফল, টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা সঙ্গী হল ভারতের। মাত্র ৩৬ রানে শেষ হয়ে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই ভারতের এক ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রান অলআউট হওয়া ছিল ভারতের পক্ষে সর্বনিম্ন।
প্যাট কামিন্স (৪/২১) ও জশ হ্যাজলউডের (৫/৮) আগুনে বোলিংয়ে শনিবার ছারখার হয়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিং। অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে বিরাট ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। শুরুর দিকেই মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে ভারত। তারপর জারি থাকে উইকেট পতন। শেষমেশ ৩৬ রানে শেষ হয় ইনিংস। ৯ উইকেটে ৩৬ রানে খেলার সময় হাতে চোট পান মহম্মদ শামি। তিনি রিটার্য়ার্ড হার্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লজ্জার নজির সঙ্গী হয় ভারতের।