ক্যান্টারবেরি: টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (INDW vs ENGW) সিরিজ হারতে হয়েছিল হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে। তবে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজে কব্জা করে নিল ভারত। সৌজন্যে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের দুর্দান্ত শতরান ও রেণুকা সিংহের (Renuka Singh) চারটি উইকেট। এর দৌলতেই দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে ইংল্যান্ডকে ৮৮ রানে পরাজিত করে সিরিজ জিতে নিল ভারত।


অনবদ্য হরমনপ্রীত


টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৩ রান তুলল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। ১১১ বলে অপরাজিত ১৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হরমনপ্রীত। ইংল্যান্ডের কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তার ইনিংস সাজানো ছিল ১৮টি চার এবং চারটি ছক্কায়। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ চার ওভারে ভারতীয় দল ৭১ রান তোলে। ১০০ বলে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম শতরান পূর্ণ করার পর আরও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন হরমনপ্রীত। সে সময় তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ৪০০। শেষ দিকে হরমনকে যোগ্য সঙ্গত করলেন বাংলার দীপ্তি শর্মা। তিনি নয় বলে ১৫ রানের ইনিংসে খেলেন। হরমনপ্রীতের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ রান উঠল ওভার প্রতি ১৭.৭৫ রানের গড়ে। যা মহিলাদের এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। সেদিক থেকে রেকর্ড গড়ল এই জুটি।


দুরন্ত রেণুকা


ব্যাট হাতে সফল সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাও। ওপেন করতে নেমে স্মৃতি করলেন ৫১ বলে ৪০ রান। বুধবারের দিন-রাতের ম্যাচে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী অবশ্য হার্লিন দেওল। অলরাউন্ডার হার্লিন পাঁচটি চার এবং দুইটি ছয়ের সাহায্যে ৭২ বলে ৫৮ রান করেন। বড় রান তাড়া করতে নেমে ইংল্য়ান্ডের শুরুটা ভাল করার প্রয়োজন ছিল। তবে ওপেনার ট্যামি বিউমন্ট মাত্র ছয় রানে রান আউট হন। আরেক ওপেনার এম্মা ল্যাম্বকেও মাত্র ১৫ রানে ফেরান রেণুকা সিংহ। ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই ইংল্যান্ডের তিন উইকেট পড়ে যায়। ড্যানি ওয়াট ও অ্যালিস ক্যাপসে এরপর ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন।


তবে আগ্রাসী মেজাজে ৩৬ বলে ৩৯ রান করা ক্যাপসেকে সাজঘরে ফেরত পাঠান দীপ্তি শর্মা। অধিনায়ক অ্যামি জোন্সও ৩৯ রান করেন। ড্যানি ওয়াট ৬৫ রানের ভাল ইনিংস খেলেন। তবে ১৮৩ রানে আট উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা আগেই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষের দিকে চার্লি ডিন ৩৭ রান করায় ইংল্যান্ড ২৪৫ রান পর্যন্ত পৌঁছয়। রেণুকা সিংহ এদিন চার উইকেট নিলেও, ঝুলন গোস্বামী একটিও উইকেট পাননি। শেফালি ভার্মা ও দীপ্তি একটি করে উইকেট নেন। হেমলতা নেন দুই উইকেট। অপরাজিত ১৪৩ রানের সুবাদে হরমনপ্রীতকেই ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়। 


আরও পড়ুন: দুরন্ত ফর্মের সুফল পেলেন স্মৃতি, ব়্যাঙ্কিংয়ে দুই ফর্ম্যাটেই এগোলেন তারকা ওপেনার