নয়াদিল্লি: আইপিএল-এর মাঝেই দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন গৌতম গম্ভীর। তিনি ২.৮ কোটি টাকা বেতনও নেবেন না বলে জানা গিয়েছে। এবারের আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই তিনি ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর বদলে দিল্লির নয়া অধিনায়ক হলেন শ্রেয়াস আয়ার।


আজ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কোচ রিকি পন্টিং ও সিইও হেমন্ত দুয়াকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করে গম্ভীর বলেছেন, ‘আমি হয়তো সাফল্য পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। তার ফলে উল্টোটা হয়েছে। আমি চাপ সামাল দিতে পারিনি। সেটা না পারলে অধিনায়ক হিসেবে দায় নিতেই হবে। আমার মনে হচ্ছে, অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য না আমি।’

দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘গৌতম এই মরসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে বেতন নেবে না বলে জানিয়েছে। ও বাকি ম্যাচগুলি বিনা বেতনে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গৌতম এমন একজন, যে সম্মানকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। ও একজন গর্বিত পারফর্মার। ও নিজেই জানিয়েছে টাকা নেবে না। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরেই ও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিল।’

এবারের আইপিএল-এ এখন লিগ টেবলে সবার নীচে দিল্লি। ৬টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতেই দলকে জেতাতে পেরেছিলেন গম্ভীর। তিনি নিজেও ব্যাট হাতে সাফল্য পাননি। ৬টি ম্যাচে মাত্র ৮৫ রান করেন তিনি। প্রথম ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৫৫ রান করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করেননি তিনি। পরের চারটি ম্যাচে যথাক্রমে ১৫, ৮, ৩ ও ৪ রান করেন তিনি। ব্যক্তিগত ও দলের খারাপ ফর্মের জন্য তাঁর উপর চাপ বাড়ছিল। সেই কারণেই পদত্যাগ করলেন বলে মনে করছে ক্রিকেটমহল।

এর আগে ২০১০ সালের আইপিএল-এ দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন গম্ভীর। সেবার তাঁর দল পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিল। ২০১১ থেকে গতবার পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে অবশ্য সাফল্য পান এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তিনি কেকেআর-কে দু’বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেন। কিন্তু দিল্লিতে ফিরে ব্যর্থ হলেন তিনি।