কমলেশ নাগরকোটির একটি বল হেলায় আকাশে তুললেন ডিভিলিয়ার্স। গগনচুম্বী ওই ছক্কা স্টেডিয়াম পেরিয়ে বাইরের রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে দিয়ে পড়ল। ওই গাড়িতে বল গেলে ছিটকে অন্য একটি গাড়িতে গিয়ে লাগল। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে বল করতে আসেন নাগরকোটি। ওই ওভারে দুটি ছয় হাঁকান ডিভিলিয়ার্স। এরমধ্যে একটি মাঠের বাইরে রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে গিয়ে পড়ল।
নিজের ইনিংস সম্পর্কে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, এই পারফরম্যান্সে খুব খুশি। আমি এটুকু বলতে পারি, গত ম্যাচে ০ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। ওটা একেবারেই ভালো অনুভূতি নয়। এদিন দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি। সত্যি কথা বলতে কী, আমি কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছি। আমরা ১৪০-১৫০ রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছিলাম। আমার মনে হল ১৬০-১৬৫ পর্যন্ত স্কোর নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু স্কোর যে ১৯৫-তে পৌঁছে যাবে, তাতে আমিও অবাক।
আরসিবি-র অধিনায়ক কোহলি বলেছেন, দল যে স্কোর করেছিল, তাতে সন্তুষ্ট ছিলাম। পিচ শুকনো ছিল এবং ভেবেছিলাম আর্দ্রতা থাকবে না। কিন্তু ‘সুপার হিউম্যান’ ডিভিলিয়ার্স ছাড়া সব ব্যাটসম্যানেরই এই পিচে সমস্যা হয়েছে। কোহলি বলেছেন, ১৬৫-র মতো স্কোরের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু ডিভিলিয়ার্সের দাপটেই ১৯৫-তে পৌঁছনো সম্ভব হয়। ওর ইনিংসটা অবিশ্বাস্য।
নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেছেন, এবি একজন দুরন্ত খেলোয়াড়। ওকে থামানো মুশকিল। ও-ই দুটো দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিল। আমরা সব ধরনের চেষ্টাই করেছিলাম। ইনস্যুইং ইয়র্কারেই ওকে শুধু আটকানো যাচ্ছিল। নাহলে বাকি সব বল বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছিল।