নয়াদিল্লি: বেশ কয়েকমাসের অনিশ্চয়তার অবসান। আজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শুরু হচ্ছে ত্রয়োদশ আইপিএল। আইপিএলের ইতিহাসে দুই সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস একে অপরের মুখোমুখি হবে। দুটি দলই জয় দিয়ে অভিযান শুরু করতে চাইবে, এ কথা বলাই বাহুল্য। তবে কাজটা সহজ হবে না দুই দলের কাছেই।
এদিনের ম্যাচ হবে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটায় ম্যাচ শুরু হবে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পিচ কেমন হবে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পুরো টুর্নামেন্টই ভারতের বাইরে হচ্ছে। এর আগে ২০০৯-এ লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএল দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪-তে টুর্নামেন্টের প্রথম ভাগ খেলা হয়েছিল আমিরশাহিতেই। কারণ, ওই সময় দেশে লোকসভা নির্বাচন চলছিল।
এবারের আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে যায়। এর পর আইপিএলের আয়োজন ঘিরে সংশয়ের মেঘ তৈরি হয়েছিল। টি ২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার পর আইপিএল আয়োজনের সময় নির্ধারণ করতে সক্ষম হয় বিসিসিআই। এবার আমিরশাহির তিন শহর আবু ধাবি, দুবাই ও শারজাতে হবে আইপিএলের ম্যাচগুলি।


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অতিমারির কারণে এবার দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হবে আইপিএলের ম্যাচ।শুরু থেকেই আইপিএলের চাকচিক্য ও আবেদন বাড়িয়েছে ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়াম। এবার দর্শক ছাড়াই স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ। এবার দর্শকদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে হবে ম্যাচ। গ্যালারিতে বসা সমর্থকদের গগণভেদী আওয়াজও এতদিন টেলিভিশনের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌঁছে যেত। এবার সেই ছন্দে তাল কাটছে। তবে এবারও আইপিএলের ম্যাচ দেখতে টেলিভিশনের পর্দায় কয়েক কোটি দর্শক চোখ রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গতবার রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস খেতাবের প্রবল দাবিদার হিসেবে অভিযান শুরু করেছিল। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। খেতাবের লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই বাকি দলগুলিও। দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবও সমান শক্তিশালী দল। এবার কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে তা সময়ই বলবে। তবে আগামী কিছুদিন ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ব্যাট-বলের লড়াই, দুরন্ত ফিল্ডিং-এর ঝলক দেখতে মুখিয়ে থাকবেন দর্শকরা।
আমিরশাহির পিচ ঢিমে গতির ও স্পিন সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ব্যাটসম্যানরাও সহায়তা পাবেন বলে আশা। শুরুতে ফাস্ট বোলাররা সাহায্য পেতে পারেন পিচ থেকে। কিন্তু খেলা যত গড়াবে বোলারদের ভ্যারিয়েশন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে ব্যাটসম্যানদের। আমিরশাহির গরম ও আর্দ্রতা নিঃসন্দেহে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। সেইসঙ্গে গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি ছাড়াই খেলোয়াড়রা কীভাবে নিজেদের উদ্দীপ্ত রাখতে পারেন, নজর থাকবে সেদিকেও।