আবু ধাবি: অল্প রানের পুঁজি। কিন্তু তাতেও বাজিমাত দিল্লি ক্যাপিটালসের। রাজস্থান রয়্য়ালসের বিরুদ্ধে ৩৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ঋষভ পন্থের দল। প্রথম ব্যাট করে বোর্ডে ১৫৪ রান তুলেছিল দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২১ রানই বোর্ডে তুলতে সক্ষম হল সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান। এই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০ ম্য়াচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল ঋষভ পন্থের দল। প্লে অফও প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল তাঁরা।
চলতি আইপিএলে আগের ম্য়াচেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রাজস্থান। সেই ফর্মই বজায় রেখে এদিন রাজস্থানের বোলিং বাহিনী দিল্লিকে বেশি রান বোর্ডে তুলতে দেয়নি। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ রয়্যালস। একমাত্র ব্যতিক্রম সঞ্জু স্যামসন নিজে। নিজে ৫৩ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সঞ্জু। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। এদিন রাজস্থান শিবিরের কোনও ব্যাটারই ক্রিজে টিকতে পারেননি। বোর্ডে মাত্র ৬ রান তুলতেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বসে রাজস্থান। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি রয়্যালসরা। সঞ্জু ছাড়া একমাত্র মহিপল লোমরর দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পেরেছেন। দিল্লি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই রাজস্থান ব্যাটারদের হাত খোলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। দিল্লি বোলারদের মধ্যে আনরিখ নোখিয়া সর্বাধিক ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন আবেশ খান, অক্ষর পটেল, কাগিসো রাবাদা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এর আগে এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দিল্লির হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়ে শিখর ধবন ও পৃথ্বী শ জুটি এদিন ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ২ জনই ব্যর্থ হন এদিন। দিল্লি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পঞ্জাব ম্যাচের নায়ক কার্তিক ত্যাগী। ধবনকে বোল্ড করে দেন তিনি। মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তারকা ওপেনার। এর কিছুক্ষণ পরে ফিরে যান পৃথ্বীও। ১০ রান করে চেতন সাকারিয়ান বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর কিছুটা হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। আইয়ার ৩২ বলে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে পন্থ এদিন ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন। কিছুটা স্লথ গতিতে খেলে ২৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। ২ জনে মিলে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করেন। এরপর পন্থ ফিরে গেলে শ্রেয়সও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ দিকে হেটমায়ার, ললিত যাদব ও অক্ষর পটেল মিলে দিল্লির স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করে দেন।