কলকাতা: বরাবরের তারকাখচিত দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নামীদের নিয়ে গল গড়ে, কিন্তু কম্বিনেশন ঠিক থাকে না। হয়তো ব্য়াটিংয়ে বড় পাঁচটা নাম রয়েছে, কিন্তু বোলার নেই। বা উইকেটের পিছনে ভরসা করার মতো কেউ নেই। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।


সত্যি কথা বলতে কী, আরসিবি দলে একজনই ম্যাচ উইনার বা গেমচেঞ্জার রয়েছে। তার নাম এ বি ডিভিসিয়ার্স। কিন্তু ডিভিলিয়ার্সেরও বয়স হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে নেই। ওর কাছে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা আশা করা উচিত নয়।


একটা সময় খুব আলোচনা হতো, সচিন তেন্ডুলকর কোনও দিন বিশ্বকাপ জিতবে কি না। শেষ পর্যন্ত কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল সচিন। সেরকমই আলোচনা হয় বিরাট কোহলি কবে আইপিএল জিতবে তা নিয়ে। হয়তো কোহলিও সেই চাপটা টের পায়। এবার কী হয় দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সকলে।


একটা কথা আছে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হবে আরসিবি। সেই ম্যাচের ফলাফল থেকেই বোঝা যাবে, আরসিবি-র কপাল ফিরবে কি না।


রশিদ-ভুবিদের বোলিংই সেরা, ঋদ্ধিকে ওপেনিংয়ে খেলানো উচিত হায়দরাবাদের


এবারও আরসিবি দল নিয়ে চর্চা করলে দেখা যাবে, ব্যাটিং শক্তিশালী। কিন্তু বোলিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে। এমনকী, যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়েও সংশয় রয়েছে। ওর বোলিং, লাইন-লেংথ সব ব্যাটসম্যানেরা ধরে ফেলেছে। তাই ইদানীং খুব একটা দাগ কাটতে পারছে না। চাহালকে কোনও দিনই বড় স্পিনার মনে হয়নি আমার। এবার ওর বড় পরীক্ষা। ওয়াশিংটন সুন্দর ভাল স্পিনার। কিন্তু ও কোনওদিন ৪ ওভারে তিন উইকেট নিতে পারবে না। হয়তো নতুন বলে বল করবে। রান কম দেবে। তবে টেনে টেনে বল করবে। দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ ও নভদীপ সাইনি কেমন পারফর্ম করবে, তার ওপর দলের সাফল্য়-ব্যর্থতা নির্ভর করে রয়েছে।


বড় ম্যাচে চোক করে যায় আরসিবি। অনেকটা পঞ্জাব কিংসের মতোই। ব্যাক্তিগত দক্ষতায় কোহলি বা এ বি হয়তো কয়েকটা ম্যাচ বার করে দেবে। তবে ধারাবাহিকভাবে কতটা ছাপ ফেলতে পারবে, সংশয় রয়েছে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে এবার দলে নিয়েছে আরসিবি। তবে ম্যাক্সওয়েল কবে কোন ম্যাচে ভাল খেলবে, কেউই হলফ করে বলতে পারবে না। সব মিলিয়ে এবারও অগ্নিপরীক্ষা আরসিবি-র।


পুরো দল: পবন দেশপাণ্ডে, ওয়াশিংটন সুন্দর, বিরাট কোহলি, হর্ষল পটেল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, রজত পাতিদার, যুজবেন্দ্র চাহাল, শাহবাজ আমেদ, মহম্মদ সিরাজ, অ্যাডাম জাম্পা, ড্যানিয়েল স্যামস, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সচিন বেবি, ফিন অ্যালেন, এ বি ডিভিলিয়ার্স, নভদীপ সাইনি, দেবদত্ত পাড়িক্কল, কেন রিচার্ডসন, কাইল জেমিসন, সুয়াস প্রভুদেশাই ও কে এস ভরত।


অধিনায়ক: বিরাট কোহলি


কোচ: মাইক হেসন


ব্যাটিং কোচ: সাইমন কাটিচ


ব্যাটিং পরামর্শদাতা: সঞ্জয় বাঙ্গার


সহকারী কোচ: শ্রীধরন শ্রীরাম


আইপিএলে সেরা পারফরম্যান্স: রানার্স ৩ বার (২০০৯, ২০১১, ২০১৬)


আইপিএল রেকর্ড: ম্যাচ ১৬৮, জয় ৮০, হার ৮৪, অমীমাংসিত ৪


গত আইপিএলের পারফরম্যান্স: ম্যাচ ১৪, জয় ৭, হার ৭


শক্তি: শক্তিশালী ব্যাটিং। ডিভিলিয়ার্স ও কোহলি।


দুর্বলতা: দলে ভারসাম্য নেই। অতিরিক্ত ডিভিলিয়ার্স নির্ভরতা। বড় ম্যাচে স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পারা।


এক্স ফ্যাক্টর: এ বি ডিভিলিয়ার্স।


আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ:


৯ এপ্রিল    এমআই বনাম আরসিবি      চেন্নাই, রাত ৭.৩০


১৪ এপ্রিল  এসআরএইচ বনাম আরসিবি       চেন্নাই, রাত ৭.৩০


১৮ এপ্রিল  আরসিবি বনাম কেকেআর  চেন্নাই, বিকেল ৩.৩০


২২ এপ্রিল  আরসিবি বনাম আরআর     মুম্বই, রাত ৭.৩০


২৫ এপ্রিল সিএসকে বনাম আরসিবি    মুম্বই, দুপুর ৩.৩০


২৭ এপ্রিল  ডিসি বনাম আরসিবি  আমদাবাদ, রাত ৭.৩০


৩০ এপ্রিল পিকে বনাম আরসিবি আমদাবাদ, রাত ৭.৩০


৩ মে কেকেআর বনাম আরসিবি  আমদাবাদ, রাত ৭.৩০


৬ মে        আরসিবি বনাম পিকে আমদাবাদ, রাত ৭.৩০


৯ মে আরসিবি বনাম এসআরএইচ       কলকাতা, রাত ৭.৩০


১৪ মে       আরসিবি বনাম ডিসি  কলকাতা, রাত ৭.৩০


১৬ মে      আরআর বনাম আরসিবি     কলকাতা, দুপুর ৩.৩০


২০ মে      আরসিবি বনাম এমআই      কলকাতা, রাত ৭.৩০


২৩ মে      আরসিবি বনাম সিএসকে    কলকাতা, রাত ৭.৩০


*অনুলিখন: সন্দীপ সরকার