নয়াদিল্লি: গত সাত বছরে প্রথমবার আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে গেল। একটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-এ আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৪৭,৫০০ কোটি টাকা। ২০২০-তে সেটাই ৩.৬ শতাংশ কমে হয় ৪৫,৮০০ কোটি টাকা।
গতবার করোনা আবহে আইপিএল নির্দিষ্ট সময়ে হয়নি। আইপিএল আদৌ হবে কি না, সেটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হয়ে আইপিএল। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের সেনা সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএল-এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোকে রাখা হয়নি। তার বদলে টাইটেল স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। ভিভো যেখানে ৪৪০ কোটি টাকা দিত, সেখানে ড্রিম ইলেভেন দেয় ২২২ কোটি টাকা। তার ফলে লভ্যাংশ কমে যায়। অন্য স্পনসররাও আগের তুলনায় কম অর্থ দেয়। মাঠে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং করোনা সংক্রমণ আইপিএল-এর স্পনসরশিপে প্রভাব ফেলে। তার ফলেই আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে গিয়েছে।
আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিরও একই অবস্থা হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৯-এ যেখানে শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৬২৯ কোটি টাকা, ২০২০-তে সেটা কমে হয় ৫৪৩ কোটি টাকা।
চেন্নাই সুপার কিংসের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৬.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৯-এ যেখানে সিএসকে-র ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৭৩২ কোটি টাকা, ২০২০-তে সেটা কমে হয় ৬১১ কোটি টাকা।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫.৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৯-এ মুম্বইয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল ৮০৯ কোটি টাকা। সেটা ২০২০-তে কমে হয়েছে ৭৬১ কোটি টাকা।
স্পনসরশিপ বাবদ অর্থ কমে যাওয়া, মাঠে কোনও দর্শক না থাকায় টিকিট বিক্রি বাবদ অর্থ না পাওয়া, খাদ্য ও পানীয় সংক্রান্ত লভ্যাংশ কমে যাওয়া এবং দলের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার কারণেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।