বেঙ্গালুরু: আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে টানা ২ ম্যাচ জিতলেন বিরাট কোহলি। ২০১৯ সালের পর চিন্নাস্বামীতে অধিনায়ক হিসেবে নামলেন কিংগ কোহলি। আগের ম্যাচে মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে নেমে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এদিন ফের জয় পেলেন। এবার বিরাটের নেতৃত্বে আরসিবি হারাল রাজস্থান রয়্যালসকে। ৭ রানে সঞ্জু স্যামসনের দলকে হারিয়ে দিল বিরাট বাহিনী। 


১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রাজস্থান বাটলারের উইকেট হারায়। আরসিবি ইনিংসে প্রথম বলেই বিরাট ফিরে গিয়েছিলেন। রাজস্থান ইনিংসের চতুর্থ বলে সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ইংল্যান্ড ব্যাটার। দেবদত্ত ও যশস্বী জয়সওয়াল মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৭ বলে ৪৭ রান করে জয়সওয়াল। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। দেবদত্ত অর্ধশতরান করলেও এর বেশি নিজের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি আর। ৩৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনি। স্যামসন ১৫ বলে ২২ রান করে ফিরে যান। ধ্রুব জুড়েল ১৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল। তবে ১৮২ রানেই থেমে যায় ইনিংস। আরসিবি বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন হর্ষল পটেল। ১টি করে উইকেট নেন সিরাজ ও উইলি। 


ফাফ ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুরন্ত অর্ধশতরানে ভর করে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নয় উইকেটের বিনিময়ে ১৮৯ রান তুলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থান শুরুটা অনেকটা স্বপ্নের মতোই করে। ২০১৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরিয়ে বিরাটকে ইনসুইংয়ে পরাজিত করে প্রথম বলেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এদিন বাংলার শাহবাজ আমেদকে ব্যাটিংয়ে প্রমোশন দেওয়া হয়। তবে তিনিও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ১২ রানের মধ্যে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আরসিবি। তবে এরপরই আরসিবি ইনিংসের দায়িত্ব সামলান ফাফ ও গ্লেন। এই দুই তারকার শতরানের পার্টনারশিপই আরসিবিকে চাপের জায়গা থেকে মুক্ত করে।